1. : admin :
বডি ওর্ন ক্যামেরায় লাইভ স্ট্রিমিং চালু করল হাইওয়ে পুলিশ - দৈনিক আমার সময়

বডি ওর্ন ক্যামেরায় লাইভ স্ট্রিমিং চালু করল হাইওয়ে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
    প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
পেশাদারিত্ব ও সেবার মান উন্নয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বডি ওর্ন ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিং সিস্টেম চালু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এখন থেকে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম সরাসরি কন্ট্রোল রুম থেকে  মনিটর করা যাবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে “হাইওয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহ ২০২৪” উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এই সেবার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো.শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। সেই অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের মহাসড়ক ব্যবস্থাকে আগামী ২০৪১ সালে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের মহাসড়কের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সেবা ও উন্নয়নে হাইওয়ে পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রবল আন্তরিক ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও মাদক দমনসহ মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে নিরলসভাবে কাজ করছে। এছাড়া মহাসড়কে গুরুত্বপূর্ণ আপডেটসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে হ্যালো এইচপি অ্যাপস চালুর মাধ্যমে সড়ক- মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের সহায়তা প্রদান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দ্রুত কাজ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বডি ওর্ন ক্যামেরার সাহায্যে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের সকল অপারেশনাল কার্যক্রম কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিকভাবে সরাসরি তদারকি করা হচ্ছে। তাছাড়া হ্যালো এইচপি অ্যাপের মাধ্যমে মহাসড়ক ব্যবহারকারী সকল যাত্রীসাধারণ মুহূর্তের মধ্যেই ইমার্জেন্সি বাটনে স্পর্শ করে হাইওয়ে পুলিশের জরুরি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

এদিকে লাইভ স্ট্রিমিং কার্যক্রমের উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে, জনগনের সেবার স্বার্থে, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি পুলিশ বাহিনীকে বিভিন্নভাবে সাজিয়েছেন। তিনি পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের মহাসড়কে পরিণত করতে আন্তর্জাতিক মহাসড়ক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মহাসড়ক গুলোকে জিরো এক্সিডেন্টের আলোকে তৈরি করতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৫০ কিলোমিটার জুরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি, এবং এই কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। আমরা মনে করি এই কার্যক্রমটা সম্পন্ন হলে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো আমাদের সড়ক ব্যবস্থাকে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্পের সহায়তা,  দ্রুত শিল্পায়ন বিকাশ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানুষের করায় ক্ষমতা, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ফলে মহাসড়ক আজ অতীতের অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

হাইওয়ে পুলিশের জনবল বৃদ্ধির জন্য কাজ চললাম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই মাত্র শুরু করেছি, আমাদের জনবল কম, আমরা রাতারাতি অনেক কিছু করতে পারি না। আমাদের যে জায়গায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে সেই জায়গায় আমরা অবশ্যই যাব। আমাদের পুলিশের সমস্যা সমাধান আমরা করব, এজন্য আমরা কাজ করছি এবং করে যাব ইনশাল্লাহ।

অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান,  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক আইজিপি বেনজির আহমদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার (গ্রেড-১), সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকশোলী সৈয়দ মইনুল হাসান,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েতউল্লাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী খান।

‘সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হলো ৭ দিনব্যাপী ‘হাইওয়ে পুলিশের সেবা সপ্তাহ-২০২৪’। আজ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৮ টি রিজিয়ন ও ৮০ টি থানা ফাড়িতে নানা আয়োজনে চলবে এই সেবা সপ্তাহ।

উলেক্ষ্য, ২০০৫ সালের ১১ জুন একটি বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট হিসেবে যাত্রা শুরু করে “হাইওয়ে পুলিশ” এবং ২০০৯ সালে হাইওয়ে পুলিশ বিধিমালা প্রণীত হওয়ার মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com