1. : admin :
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ছাড়াল ১০০ বিলিয়ন ডলার - দৈনিক আমার সময়

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ছাড়াল ১০০ বিলিয়ন ডলার

অনলাইন ডেস্ক
    প্রকাশিত : শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪

দেশে বিদেশি ঋণ ছাড়াল ১০০ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সাল শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়েিয়ছে ১০০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে যা ছিল ৯৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। সবমিলিয়ে বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। এসব ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার এবং বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি ঋণের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ১৫ বছর আগে ২০০৮ সাল শেষে ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩৪২ শতাংশ।

এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের বিদেশি ঋণ ৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এ সময়ে সরকারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। সরকারের বাড়লেও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ৩৩ কোটি ডলার কমেছে।

গত ডিসেম্বর শেষে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। আর বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২০ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে তা দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে। এর মানে গত ৮ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের পর বিদেশি ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৮ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৮১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ ঋণের পরিমাণ ৯৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৯৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। আর গত বছর শেষে এ ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার।

বিদেশি এসব ঋণ এসেছে সরকারি বিভিন্ন মেগা প্রকল্প নির্মাণের জন্য। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে রাশিয়া দিয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে চীন থেকে। আর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে ভারত। এছাড়া মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প ঘিরে জাপান থেকে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ঋণসহায়তা নেয়া হচ্ছে।

সরকারের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের পরিমাণ এখন ১১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির সর্বশেষ উপাত্ত অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ডিসেম্বরের পরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৯ হাজার টাকা। তবে গত জুনের হিসাবে তা ছিল ৫৭৪ ডলার। ৮ বছর আগে যা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com