ভূমিদস্যু আইয়ুব আলী শিকদার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সাদ্দামের ভয়ে আশুলিয়াবাসী আতঙ্কিত বলে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র বলছে, ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের দোসর আইয়ুব আলী সিকদার, আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলেন বলে একাধিক তথ্য প্রমান মিলেছে। আইয়ুব আলী সিকদার ও তার সহযোগী শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার সাদ্দাম হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জমি দখল করে আসছেন বলে একাধিক তথ্য প্রমান পাওয়া যায়।
আইয়ুব আলী সিকদার, ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি না হয়েও সমিতির ভূয়া সভাপতি দাবি করে সাধারণ অসহায় মানুষের সাথে করে চলছে প্রতারনা।
তার প্রতারণার ফাঁদে পরে ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ তাদের টাকা কিংবা জমি ফেরত চাইলে তার পোষা যুবলীগ / আওয়ামীলীগ ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদের উপর চালায় বর্বরোচিত হামলা, এবং জনসাধারনের মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করেন মিথ্যা মামলাসহ ভিত্তিহীন অভিযোগ।
জানা যায়, আইয়ুব আলী সিকদার মিল্ক ভিটায় চাকুরী করলেও তিনি বেশিরভাগ সময় কাটান ভূমি সংস্কার বোর্ড নবাব এস্টেটের অফিস ও সাভারের আশুলিয়া এলাকায়।
তার নামে আশুলিয়ায় সরকারি গাছ কেটে বিক্রী করার অভিযোগ রয়েছে ও লীজিদের বাড়ী ঘর ভাংচুর এবং লুটপাটের মামলা রয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে সরকারি জমি বিক্রি ও দখলের অভিযোগ সহ একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারী ভূমি সংস্কার বোর্ড তথা ভূমি ভবনের মুল ফটকের সামনে থেকে সাজানো নাটকে কে বা কারা আইয়ুব আলী সিকদার কে নিয়ে যায়।
নিজের অপঃস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে নিরীহ কিছু মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
কে বা কারা অপহরণ কাজ করেছে সেই দিকে না গিয়ে উল্টো পথে সালেহীন খান শাহীদ, মতিউর রহমান মতি ও কবির হোসেন সহ ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায় আইয়ুব আলী সিকদার ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্য থাকাকালীন বিশ শতাংশ সম্পত্তির মালিক হয়।
উক্ত সম্পত্তি সালেহীন খান শাহীদ মতিউর রহমান ও আল আমিন এর নিকট জমি দেয়ার নাম করে রশিদের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এবং তার নামে লীজকৃত ২০ শতাংশ জমি মতি ও আল আমিনের কাছে হস্তান্তর করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবাব এস্টেটের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা যায় আইয়ুব আলী সিকদার মূলত ভুমি সংস্কার বোর্ড তথা নবাব এস্টেট এবং ন্যাশনাল প্লাজা বহুমূখী সমবায় সমিতির কেউ নয়।
তার সাথে সরকার ও সমিতির কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় নেই। তিনি চাকুরী করেন মিল্ক ভিটায়। তিনি বেশির ভাগ সময় থাকেন ভূমির নবাব এস্টেট অফিসে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় আইয়ুব আলী সিকদার আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় সরকারি ২০ একর সম্পত্তিতে চিহ্নত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের দিয়ে ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির সাইনবোর্ড স্থাপন করে দখল করে জমি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
তার এই অবৈধ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন ভূমি সংস্কার বোর্ডস্থ ঢাকা নবাব এস্টেট এর কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা
উক্ত সরকারী সম্পত্তি দখল নিয়ে বিক্রয় বানিজ্য চালিয়ে যাওয়া এই ব্যক্তির প্রতিটি অভিযোগ ও বক্তব্য পরষ্পরবিরোধী।
আইয়ুব আলী সিকদার এসকল হয়রানীমূলক মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে ক্ষুব্ধ আউকপাড়ার লীজি পরিবার গুলো।
বর্তমানে উক্ত ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির বৈধ সভাপতি, আ,ন,ম মজিবুল্লা নাসের,
তবে এসকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের শান্তিপ্রিয় অসহায় সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে আউক পাড়া মাজার গেইট এলাকাবাসী আইয়ূব আলী সিকদার সহ তার গংদের হাত থেকে বাচতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
এ সব অভিযোগ এর বিষয়ে জানতে আইয়ুব আলী সিকদার এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply