গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায় যে, গত ইং ২০১০ সালে ০৬ আগস্ট সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থল বন্দর থেকে পাথর নিয়ে ট্রাক চালক জয়নাল(৪০) ও ট্রাকের সহকারি রুবেল(২৮) গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের উদ্দ্যেশে রওনা করলে একই তারিখ রাত আনুমানিক ২টার দিকে পাটুরিয়া টু গাবতলী মহাসড়কে পূর্ব থেকে ওৎপাতা ডাকাত দলের সর্দার ইসলাম ওরফে কালু (৪৫) ও তার সহচর ৭জন ট্রাকটি মানিকগঞ্জ জেলার মহাদেবপুর এলাকায় পৌঁছালে উপরোক্ত ডাকাতরা ট্রাকটির গতি রোধ করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ট্রাক চালক জয়নাল ও সহকারি রুবেলকে হত্যা করে তাদের লাশ মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানাধীন বালিয়াখোড়া ব্রীজের কাছে ফেলে যায়। পরের দিন ০৭ আগস্ট ঘিওর থানা পুলিশ ট্রাক চালক জয়নাল (৪০) ও ট্রাকের সহকারি রুবেল (২৮)এর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ট্রাক চালক জয়নালের ভাই হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ঘিওর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মানিকগঞ্জ জেলা উক্ত মামলায় নিহত ট্রাক চালক জয়নালের ব্যবহৃত মোবাইলের সূত্র ধরে উপরোক্ত আসামীদের সনাক্ত করে ৩০ মার্চ ২০১১ সালে মামলার তদন্ত শেষে ০৯ জনকে আসামী করে পেনাল কোডের ৩৯৬/২০১/৩৪ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমান ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ইং ০৯/১০/২০২৩ তারিখে মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার ট্রাক চালক জয়নাল ও হেলপার রুবেলকে খুনসহ ডাকাতি মামলায় আরো ৪ জন’কে মৃত্যুদণ্ডসহ বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। মামলায় গ্রেফতার এড়াতে আসামী পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
মামলা রুজুর পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে আসামী দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনাম কালু ব্যবহার করে আত্নগোপনে থেকে দিনমজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করত।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা য়েছে।
Leave a Reply