গরুর গাড়ি ছিল আদি বাহন। এক সময় গরুর গাড়ি ছিল অন্যতম বাহন। এই যে আমরা চাকা দেখতে পাচ্ছি। এই চাকা উপর ভর করে এক সময় সভ্যতার বিবর্তন বা সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এই চাকার উপর ভর করে গরুর গাড়ি যাতায়াত করত। গরুর গাড়ি একমাত্র যাতায়াতের বাহন হিসাবে ব্যবহার হতো। মালামাল বহনের একমাত্র উপায়ও ছিল এই গরুর গাড়ির।
ভেড়ামারা উপজেলায় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কুচিয়া মোড়া বাজারে গরুর গাড়ির চাকা নির্মাণ করে থাকেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গরু মহিষের গাড়ির চাকা তৈরীর কারিগর, এরা বাংলাদেশের প্রাচীন পেশাজীবী।
একসময় গ্রাম অঞ্চলের প্রধান বাহন ছিল গরুর গাড়ি বা মহিষের গাড়ি। কালের বিবর্তনে সেই স্থান দখল করেছে যান্ত্রিক যান, গরুর গাড়ি ঠাই হয়েছে জাদুঘরে। তবে কোন কোন এলাকায় কালের ভদ্রে চলতে দেখা যায় এই গাড়ি। তাই এখনও গরুর গাড়ি চাকা তৈরীর আদি পেশা ধরে রেখেছেন আবুল কালাম।
২৫ বছর যাবত এই গরুর গাড়ির চাকা তৈরি করে যাচ্ছেন আবুল কালাম। শুধু ভেড়ামারা উপজেলা নয় আশেপাশের উপজেলা থেকেও কিনতে আসে এই গরুর গাড়ির চাকা। লাভ হয় না, তেমন তারপরও বাপ দাদার এই পেশা ছাড়তে পারে না আবুল কালাম। বর্ষা মৌসুমে মাঠ থেকে ফসল আনার জন্য এখন সাধারণত গ্রামাঞ্চলে গরুর গাড়ির প্রচলন রয়েছে। তাই এখনও এই চাকা তৈরীর ব্যবহার আছে। এলাকার মানুষ জানায় গরুর গাড়ি চাকা তৈরি করে এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রেখেছে তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। এই বাহনটিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে কালামের কারিগরদের কে সরকারি সহায়তা সহ সকল আর্থিক সাহায্য স্টপ পোষকতার প্রয়োজন মনে করেন সমাজের গুণীজনেরা।
Leave a Reply