শনিবার ২৭ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈকত মারা যায়।
নিহত সৈকত সরদার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি এলাকার মৃত কাশেম সরদারের ছেলে এবং সে বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীর সমর্থিত বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরধরে বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিল মাদবরদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার, শত্রুতা ও সংঘর্ষ চলে আসছিল। আধিপত্য বিস্তারের সে ধারাবাহিকতায় গত ২৭ মার্চ রাতে দফায় দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। সে সংঘর্ষের ঘটনায় বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়া চান মুন্সী কান্দি এলাকার, জলিল মাদবর গ্রুপের সমর্থিত মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সী (২৫) এর পেটে একটি বোমের আঘাতে পেটের নারী ভুঁড়ি বেরিয়ে আসে এবং মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সে মারা যায়। উক্ত ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হলে, আসামিরা জামিনে আসেন এবং পুনরায় ২৪ এপ্রিল সংঘর্ষে জড়ায়। সে সংঘর্ষে সৈকত সরদার বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি দেখে মুমূর্ষ অবস্থায় ডাঃ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন এবং ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২৭ এপ্রিল দুপুরের দিকে মারা যায়।
জাজরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, সৈকত সরদারের মৃত্যুর ঘটনায় বিলাসপুরের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত আছে।
Leave a Reply