শ্রীপুর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুসারে অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে তবুও নতুন কমিটি পাচ্ছে না ছাত্রলীগের কর্মীরা।
কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা জানান দীর্ঘদিন হলো কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তবুও আমরা এখনো নতুন কমিটি পাচ্ছিনা। কেন কমিটি দেওয়া হচ্ছে না? এমন প্রশ্নে তারা জানান, এ বিষয়ে আমরা এখনো কোন কিছু জানিনা শুধু বলা হচ্ছে কমিটি শীঘ্রই দেওয়া হবে। বর্তমান কমিটি বলছে নতুন কমিটি যখনি দিবে তার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, আমরা কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সব সময় অবহেলিত, প্রত্যেকটা প্রোগ্রামে কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সব সময় সবার আগে অংশগ্রহণ করে কিন্তু আমাদের কাওরাইদ ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদ এক বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে তবুও আমরা নতুন কমিটি পাচ্ছিনা।বর্তমানে শ্রীপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত জেলা এবং উপজেলার নেতৃবৃন্দরা একটি সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের কাওরাইদ ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করবেন।
সরজমিনে ঘুরে জানা যায় কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী ১০/১২ জন। তবে এদের মধ্যে প্রচার প্রচারণায় এবং বিভিন্ন সমাবেশে ৫/৬ জনের ভূমিকা বেশি দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে এবং প্রচারণায় পরিচিত মুখ, রাহাত আকন্দ, রাকিব হাসান মন্ডল, ফাহাদ সরকার, নাইমুর রহমান ইমন, সানিদুল হাসান আকাশ, মাজাহারুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য, বাকিদের মধ্যে তেমন সক্রিয় কোন ভূমিকা দেখা যায় নি।
কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী সাবেক ত্রান ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক রাহাত আকন্দ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন কমিটির জন্য অপেক্ষা করেছি৷ কিন্তু কমিটি না হওয়ায় নেতাকর্মীদের ভেতর হতাশা কাজ করলেও বর্তমান আহবায়ক কমিটির প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে সকল প্রার্থীর। আশা করছি খুব শীগ্রই কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করবে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী রাকিব হাসান মন্ডল বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জরিত,জেলা ও থানা ছাত্রলীগের নেতাদের নির্দেশ অনুসারে কাজ করে যাচ্ছি, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, আমরা নতুন কমিটির অপেক্ষায় আছি, কাওরাইদ ইউনিয়নে আমিই প্রথম বিএনপির বিরুদ্ধে রাস্তায় মশাল মিছিল দিয়েছি। আমি সভাপতি হতে পারলে কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করবো, ইউনিয়নে মাদক, সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ সহ স্কুল কলেজের সামনে বখাটেদের ইভটিজিং বন্ধ করবো ইনশাআল্লাহ।
অন্যদিকে আরেক সভাপতি প্রার্থী নাইমুর রহমান ইমন বলেন আমি ২০১৯ সাল থেকে ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয় ভাবে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পোগ্রাম করে আসছি,আমি সামজিক ও জাতীয় পোগ্রাম গুলো সবসময় করে আসছি, করোনা কালীন সময়ে আমি ১৫০ টি পরিবারে সহযোগিতা করেছি,এবং যে সকল ছাত্রছাত্রী টাকার জন্য পড়াশোনা করতে পারেনা তাদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করি। আমি যদি সভাপতি হতে পারি তাহলে সর্বপ্রথমেই একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল, পরিপাটি ছাত্রলীগ হিসেবে সবাইকে নিয়ে কাওরাইদ ইউনিয়নকে উপজেলার মধ্যে ছাত্রলীগের একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে জেলা,উপজেলা নেতাকর্মীদের উপহার দিবো।তিনি আরও বলেন বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ, আশা করছি দ্রুতই একটি সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের একটি নতুন কমিটি দেওয়া হবে।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মোঃ ফাহাদ সরকার বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত, দলীয় গ্রুপিংয়ের জন্য কোন পদ পদবি পায় নি,তবে এবার আমি আশা করছি উপজেলা ও জেলার ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আমাকে নিরাশ করবেন না। সভাপতি হতে পারলে আমি শ্রীপুর উপজেলার মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে কাওরাইদ ইউনিয়নকে গঠন করবো,এখানে কোন মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ থাকবেনা। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কেন কমিটি দিতে বিলম্ব হচ্ছে জানিনা তবে আশা করছি সম্মেলনের মাধ্যমে দ্রুত একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিবে নেতৃবৃন্দ।
কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াদ হাসান জানান ২০২১ সালে আমাদের কমিটি ১ বছরের জন্য অনুমোদন দেয়,আমরা পূনাঙ্গ কমিটি গঠন করেছি,বর্তমানে আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও বিলুপ্ত করা হয়নি, উপজেলা ও জেলার নেতৃবৃন্দ যদি নতুন কমিটি দেয় তাহলে তার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি এবং যারা নতুন দায়িত্বে আসবে তাদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা থাকবে সবসময়।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলম্ব হওয়া এবং নতুন কমিটি গঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ মাহাবুব হাসান বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই আমাদের উপজেলার অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটা ইউনিটের কমিটি দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করবো, বিশেষ করে কাওরাইদ না,অন্যান্য ইউনিটের আগেই দিবো, সাংগঠনিক ছেলে যারা ,আদর্শিক কর্মী যারা তাদেরকে আমরা অচিরেই খুঁজে খুঁজে নেতৃত্বে নিয়ে আসবো।এখন উপজেলার ৪ টা ইউনিয়নের কমিটি দেওয়া হয়েছে এবং ৪ টা ইউনিয়নের কমিটি বাকি রয়েছে।
Leave a Reply