আমার সময় ডেস্কঃ
সাকিব আল হাসান যেন সুপারম্যান। আজ ঢাকা, তো কাল দুবাই। আজ মাঠে খেলছেন, তো কাল চলে যাচ্ছেন বিজ্ঞাপনের কোনও কাজে, হোক সেটা ভিনদেশে কিংবা ভিন্ন কোন শহরে। গত কিছুদিন ধরে সাকিবের রুটিন এমনই। মাঠের বাইরে আর মাঠের ভেতরে তার ব্যস্ত সময় কাটছে। যদিও সবগুলো কাজই হচ্ছে ঠিকঠাক। অথচ এমন রুটিনে সাধারণ মানুষ হাঁপিয়ে উঠলেও সাকিবের নেই কোনও ক্লান্তি।
ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেই সাকিব চলে যান দুবাইতে। সেখানে একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করেন। পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামী আরাভ খানের আমন্ত্রণে দুবাই যাওয়ার কারণে বেশ সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাকে। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার সেসব সমালোচনা গায়েই মাখেননি। প্রথম ওয়ানডের আগের দিন যান সিলেটে। এক বেলা অনুশীলন করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে খেলেন দারুণ এক ইনিংস।
এসব ভ্রমণক্লান্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিজ্ঞাপন, মাঠের ক্রিকেট, পরিবার, সামাজিক কার্যক্রম সবকিছু দারুণভাবে সামাল দিচ্ছেন সাকিব। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বসলেন, কীভাবে সামলান এত কিছু? হাসতে হাসতে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের উত্তর, ‘যে পারে সে সবই পারে।’
বিমানের পণ্যদূত হওয়ার পর সাকিবকে প্রশ্ন করা হয়, ছোটবেলায় কখনও কি পাইলট হতে ইচ্ছা করেছিল। তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, ছোটবেলায় পাইলট হতে চাইতাম। ডাক্তারও হতে চেয়েছি, ইঞ্জিনিয়ারও হতে চেয়েছি। সবকিছু ক্রিকেটে শেষ হয়েছে।’
বিমান বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে গর্বিত সাকিব বলেছেন, ‘আজকে বিমানের অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। সত্যি কথা বলতে যখন ছোটবেলায় খেলতাম বা বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতাম তখন কোনও বিমান উড়ে গেলে আমরা বোঝার চেষ্টা করতাম এটা কোন দেশের বিমান। আলহামদুলিল্লাহ আজকে বিমানের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে বিমান আরও ভালো অবস্থানে যাবে।’
Leave a Reply