মানিকগঞ্জে বাণিজ্য বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্ততি নেয়া দুই শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগের হাতে পেয়ে মহা দু:শ্চিন্তায় পড়েছিল। পরে জেলা প্রশাসক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের তাৎক্ষণিক উদ্যোগ ও আন্তরিকতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেই দু:শ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেল দুই শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুল কাদের ও সুমাইয়া বাণিজ্য বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে। কিন্তু ৩/৪ দিন পূর্বে যখন তারা রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র হাতে পায় তখন দেখা যায় যে, তাদের দুজনের প্রবেশপত্রই মানবিক বিভাগের। প্রবেশপত্র হাতে পেয়েই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করে ওই শিক্ষার্থীরা। কোনরূপ প্রতিকার না পেয়ে পরবর্তীতে তারা গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফকে অবগত করেন।
এরপর মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ তৎক্ষণাত ঢাকা বিভাগীয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে বিষয়টি অবহিত করেন। পরবর্তীতে শনিবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক, ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ বোর্ডে গিয়ে প্রবেশপত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের আন্তরিকতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে শনিবারই বোর্ড থেকে সংশোধিত প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয় এবং শিক্ষার্থীদ্বয়কে হস্তান্তর করা হয়।
এসএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুল কাদের ও সুমাইয়া বলেন, সংশোধিত প্রবেশপত্র না পেলে বাণিজ্য বিভাগে লেখাপড়া করে মানবিক বিভাগে পরীক্ষা দিতে হতো। এতে আমাদের জন্য অনেক ক্ষতি হতো। কিন্ত ডিসি স্যারের সহযোগিতায় আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধিত প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছি। আমরা এখন নিশ্চিন্ত। ডিসি স্যারের প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, দুই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ভূল হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবহিত করেছি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সহযোগিতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধিত প্রবেশপত্র ইস্যু এবং শিক্ষার্থীদেরকে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো তাদের সমস্যা সমাধান হয়েছে এবং তারা সঠিকভাবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। আশা করি তারা ভালো ফলাফল করবে। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।
Leave a Reply