রাজধানীর পূর্ব শ্যামলী প্রধান সড়ক সংলগ্ন ফয়সাল টাওয়ারের কাঁচা লংকা রেষ্টুরেন্ট টি ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড বেজমেন্টে অবস্থিত বড় পরিসরে একটি চলমান রেষ্টুরেন্ট। রাজউক ভবন টি সীলগালা করে রেখেছে দীর্ঘ প্রায় যুগেরও বেশি সময় ধরে। হালের সিদ্দিক বাজার ট্র্যাজেডির পর ঢাকার সকল এলাকার ভবনের বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিং ব্যতিত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করার নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও, পর্যাপ্ত ভেনটিলেশন, ফায়ার হাইড্রেন্ট, স্মোক ডিটেক্টর ও ফায়ার এলার্ম ব্যাতিরেকেই চলছে এই রেস্টুরেন্টটি। এই রেস্টুরেন্টের কিচেন ব্যবহার করা হয় বিনা অনুমোদিত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ফটকের ফুটপাত জুড়ে রেখেছে গ্যাস সিলিন্ডার, যেকোনো সময় এই সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে ঘটেযেতে পারে বড় ধরনের প্রাণনাশের দূর্ঘটনা।
রাজউকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কি ভাবে বেজমেন্টে চলছে এই রেস্টুরেন্ট এ সম্পর্কে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার গুলজার হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ভাড়ায় চালাচ্ছি রেস্টুরেন্ট ভবন মালিক ভাড়া দিয়েছেন তাই আছি। রাজউক ও সিটি করপোরেশনের ইনস্পেক্টররা আসে, মাসোহারা নিয়ে চলে যায়। এভাবেই চলছে। আমরা একজন ভবন মালিক মোঃ হোসেন জীবনের মুঠোফোনে ভবনের বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিং স্থানে কাঁচা লংকা রেষ্টুরেন্টকে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন এর কোন অনুমোদন নেয়া আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রাজউক থেকে অনুমোন নিয়েছি, আপনারা রাজউককে জিজ্ঞেস করেন।
রাজউকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কি ভাবে বেজমেন্টে চলছে এই রেস্টুরেন্ট এ সম্পর্কে রাজউক এর ইমারত পরিদর্শক সাদ্দাম হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সাথে সাথেই ভবন মালিককে ১০ই মে’২০২৩ তারিখে ২য় দফায় নোটিশ করেছি, ওরা কোন রেসপন্স করেনি, আমরা খুব শীঘ্রই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ করবো এবং আইনের আওতায় আনবো।
রাজধানীতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে ব্যার্থ হলে ঝরবে অনেক প্রাণ তাই এখনই পদক্ষেপ ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ গণ।
Leave a Reply