1. : admin :
অষ্টম শ্রেণির সনদ বিক্রির অভিযোগে তথ্য সংগ্রহে গেলে প্রধান শিক্ষকের পালানোর চেষ্টা - দৈনিক আমার সময়

অষ্টম শ্রেণির সনদ বিক্রির অভিযোগে তথ্য সংগ্রহে গেলে প্রধান শিক্ষকের পালানোর চেষ্টা

আরাফাত হোসেন,কুষ্টিয়া
    প্রকাশিত : বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অষ্টম  শ্রেণি পাশের সনদ বিক্রির অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে  সাংবাদিকরা গেলে প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকরা তাকে ধাওয়া করে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকে মোনায়েম খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জানান ইতিমধ্যে সনদ বিক্রির বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
ভুক্তভোগী প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি বজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৩ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হন। পরবর্তীতে চাকুরির ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের  প্রয়োজন হলে প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে প্রধান শিক্ষক এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে দর কশাকশির মাধ্যমে  ৫২ হাজার টাকায় রফা হয়। এবং ২০০৯ সালের ব্যাক ডেটে অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদ হাতে লিখে দেওয়া হয় । সনদে জাহাঙ্গীর হোসেন বুলু নাম ব্যবহার করা হয়। পরবর্তিতে সনদ কাজে না লাগলে তিনি  প্রধান  শিক্ষক মোনায়েম খানের কাছে  টাকা ফেরত চাইতে গেলে  তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানান।
এসময় ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা  প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে  জানান, এসএসসি পাশের সনদ তুলতে এসে তারা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। সনদ নিতে তাদের কাছে ১ হাজার টাকা দাবী করা হচ্ছে।
অভিভাবক খোকন জানান, তার  ভাতিজার এসএসসির সনদ নিতে গেলে  ১ হাজার টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বললে  কাছে জিজ্ঞেস তারা  জানান টাকা নেওয়ার কেনো নিয়ম নাই। এরপর তিনি নিজে স্কুলে গিয়ে কোন টাকা ছাড়া সনদ তুলেছেন বলে জানান।
বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম খান  সনদ বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন এগুলো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর নামে কোনো ছেলেকে তিনি চেনেন না।
সীল এবং স্বাক্ষর এর বিষয়ে  বলেন নকল করা হয়েছে  বলে জানান।
বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক মোনায়েম খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সনদ বিক্রির বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  সনদ বিক্রির বিষয়টি সত্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, এজাজ কায়সার জানান, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি।  এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পায় নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com