বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের চাটরা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্য রফিকুল ইসলাম খলিফার (৫৪) বাড়িতে সংঘটিত ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ডাকাতদলের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। ২৫ অক্টোবর বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ২০ অক্টোবর গভীর রাতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৮ থেকে ১০ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জানালার গ্রিল ভেঙ্গে রফিকুল ইসলামের একতলা বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্টীলের আলমিরা হতে নগদ ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭ শত টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও অন্যান্য মালামালসহ মোট ১২ লক্ষ ২৬ হাজার ৫ শত টাকার সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের পর বরিশালের পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় তদন্ত ও অভিযান শুরু করে জেলা পুলিশ। পরে বাকেরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ সরদারের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান সহ, সরসী তদন্ত কেন্দ্র ও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান হতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত মুছা খান (২১), পলাশ খলিফা (৩৩), সাগর সিকদার (২৩) ও মাসুদ খানম (৪০) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত মুছা খান ও সাগর সিকদারের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তি তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত সাগর সিকদারের বাসা হতে লুণ্ঠিত একটি স্বর্ণের চেইন, গ্রিল ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত একটি রেঞ্জ, মুছা খানের বাসা হতে ডাকাতি সংঘটনে ব্যবহৃত একটি রামদা ও একটি ছোরা এবং অপর গ্রেপ্তারকৃত আসামী মাসুদ খানের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তি তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসা হতে লুণ্ঠিত এক জোড়া স্বর্ণের কানের ঝুমকা, এক জোড়া স্বর্ণের কানের রিং ও নগদ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত পলাশ খানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও একটি মাদক মামলা এবং মুছা খানের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা বিচারাধীন আছে।
Leave a Reply