1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
থাইল্যান্ডের রাজাকে রাম উপাধি কেন - দৈনিক আমার সময়

থাইল্যান্ডের রাজাকে রাম উপাধি কেন

আমার সময় অনলাইন ডেস্বক
    প্রকাশিত : শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫

থাইল্যান্ড, যা সিয়াম নামেও পরিচিত, তার অনন্য সংস্কৃতি, সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং শক্তিশালী রাজতান্ত্রিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু একটা প্রশ্ন প্রায়ই জাগে।

প্রশ্ন হলো থাইল্যান্ডের প্রতিটি রাজাকে কেন ‘রাম’ উপাধি দেওয়া হয়? এটা কি নিছকই কাকতালীয় ঘটনা, নাকি এর পেছনে কোনও ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় কারণ রয়েছে? এমন পরিস্থিতিতে, আসুন আমরা আপনাকে এই ঐতিহ্যের পুরো গল্পটি বলি।

থাইল্যান্ডের রাজাকে রাম উপাধি কেন দেওয়া হয়?
থাইল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক কেবল বাণিজ্যের দিক থেকে নয়, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গভীর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের মতো, থাইল্যান্ডেও হিন্দু ও বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রভাব দেখা যায়। থাই সমাজে, রামায়ণ, যাকে রামাকিয়েন বলা হয়, কেবল একটি মহাকাব্য নয় বরং জাতীয় গর্বের প্রতীক।

এটি কেবল থাই শিল্প, নাটক এবং সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশই নয়, বরং তাদের শাসন কাঠামোর সাথেও একীভূত। এই ঘটনাটি ১৭৮২ সালের, যখন চক্রী রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে, রাজা পুত্তিওৎফা চালুলোক তার উপাধি হিসেবে ‘ফান দিন টোন’ যোগ করেছিলেন, যার অর্থ ‘প্রথম শাসক’।

এখন এই শিরোনামের নিজস্ব সমস্যা ছিল। প্রকৃতপক্ষে, যদি এই উপাধিটি অব্যাহত থাকে, তাহলে দ্বিতীয় রাজার উপাধি ‘মধ্যম’ হয়ে যাবে এবং তৃতীয় শাসকের উপাধি ‘শেষ শাসক’ হয়ে যাবে।

অনেক পরে, থাইল্যান্ডের চক্রী রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা বাজিরাবধ নিজেকে ইংরেজিতে ‘রাম ষষ্ঠ’ বলে সম্বোধন করেন এবং এর পরে থাই রাজাদের উপাধিতে সংখ্যা যোগ করার প্রথা শুরু হয়। বর্তমানে থাইল্যান্ডের রাজার উপাধি ‘রাম দশম’। রাম দশম থাইল্যান্ডে ‘ফুটবল প্রিন্স’ নামেও বিখ্যাত। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

চাকরি রাজবংশ ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য বজায় রেখেছে এবং রাজপরিবার আজও থাইল্যান্ডে উচ্চ সম্মানের সাথে পালন করা হয়। যদিও সময়ের সাথে সাথে রাজনীতি ও সমাজে পরিবর্তন আসছে, তবুও রামের এই উপাধি এখনও রাজাদের পরিচয় হিসেবে রয়ে গেছে।

থাইল্যান্ডের রাজাদের ‘রাম’ বলার ঐতিহ্য কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং এর সাথে গভীর ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য জড়িত। এটি কেবল একটি নাম নয়, বরং থাইল্যান্ডের জাতীয় পরিচয় এবং আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের একটি অংশ।

যদিও সময় পরিবর্তন হতে পারে, এই ঐতিহ্য দেখায় যে ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী এবং প্রাচীন এবং সম্ভবত এই কারণেই থাইল্যান্ডের প্রতিটি রাজার নাম ‘রাম’ দিয়ে শুরু হয় এবং ‘রাম’ দিয়ে শেষ হয়। এবার থাইল্যান্ডের অযোধ্যা শহরটি একবার দেখে নিন।

থাইল্যান্ডের অযোধ্যা
অযোধ্যা… এই নামটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভগবান রামের নগরীর দৃশ্য ভেসে ওঠে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে থাইল্যান্ডেও একটি অযোধ্যা আছে? আজ আমরা এটিকে আয়ুথ্যা নামে জানি।

থাইল্যান্ডের এই প্রাচীন শহরটি কেবল তার গৌরবময় অতীতের জন্যই বিখ্যাত নয়, বরং এটি ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রতীকও। আয়ুথায়া ১৩৫১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যখন এটিকে সিয়াম অর্থাৎ প্রাচীন থাইল্যান্ডের শাসকদের রাজধানী করা হয়েছিল।

এর নাম সংস্কৃত শব্দ অযোধ্যা থেকে এসেছে, যা বাল্মীকি রামায়ণে ভগবান রামের রাজধানী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আয়ুথায়ায়, রামায়ণের চরিত্রগুলির গল্প মন্দির, ভাস্কর্য এবং চিত্রকলায় চিত্রিত করা হয়েছে। এখানকার রাজতান্ত্রিক ঐতিহ্যেও ভারতীয় সংস্কৃতির এক ঝলক দেখা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com