আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তালাজাঙ্গা ইউনিয়নে ৩ হাজার ২৭৪ টি অসহায়, দুঃস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি-পরিবারের মাঝে শুরু হয়েছে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ।
চাল পাওয়া তালজাঙ্গা ইউনিয়নের কার্তিকখিলা গ্রামের হোসনে আরা ও শাহবাগ গ্রামের জুলেখা বেগম বলেন, বালতি দিয়ে আমাদের চাল দেওয়া হয়েছে। আমরা সাত কেজি করে চাল পাইছি। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, ট্যাগ অফিসারের সামনেই ছোট বালতি দিয়ে চাল দেওয়া হচ্ছে। চাল নেওয়া কয়েকজন ব্যক্তির চাল মেশিনে মেপে দেখা যায়, কোনো ব্যাগে সাত কেজি, কোনো ব্যাগে সাড়ে সাত কেজি চাল রয়েছে।
উপজেলার তালাজাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু জাহেদ ভুঁইয়ার কাছে চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমার কিছু করতে পারবে না। আপনারা যা পারেন লিখেন।
তালজাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আতহার উদ্দিন খান বলেন, ৩ হাজার ২৭৪ টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বালতিতে করে মেপে দেওয়া হচ্ছে। তবে একটু কমবেশি হতে পারে। তিনি আরো বলেন, আপনারা আসাতে চেয়ারম্যানের মাথা গরম হয়ে গেছে। এজন্যই তিনি আপনাদের উপর চড়াও হয়েছেন।
তাড়াইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া শাহীন বলেন, সরকারি চাল নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। কোনো ক্রমেই যেন চাল ১০ কেজির কম না হয়। কেননা এটা গরিবের হক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমীন বলেন, চাল কম দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এ ব্যাপারে প্রত্যেক চেয়ারম্যানদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া আছে। কোনো ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply