1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
টোকিওতে বাংলাদেশ-জাপান ষষ্ঠ পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগ অনুষ্ঠিত - দৈনিক আমার সময়

টোকিওতে বাংলাদেশ-জাপান ষষ্ঠ পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগ অনুষ্ঠিত

আমার সময় ডেস্ক :
    প্রকাশিত : বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

৬ষ্ঠ বাংলাদেশ-জাপান পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগ (পিপিইডি) আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার) জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় (এমইটিআই) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। জাপানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এমইটিআইয়ের ভাইস মিনিস্টার মাতসুও তাকেহিকো। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ দাউদ আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

পিপিইডিতে মূলত উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করা, বিশেষ করে কানেক্টিভিটি, বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি), লজিস্টিকস, এনার্জি ট্রানজিশন, কৃষি এবং কর ও কাস্টমস পদ্ধতি সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

 

সভায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং আরও ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমের কথা তুলে ধরা হয়। এছাড়া পুর্ববর্তী সংলাপে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে সভায় তুলে ধরা হয়।

 

জাপানের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের উন্নয়নে তাদের বেসরকারি খাতের সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করে বলেন যে, বিগত এক দশকে বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং সেখানে ব্যবসা সম্প্রসারণে তাদের আগ্রহের প্রতিফলন।

 

সংলাপে উভয় পক্ষ দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করার বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের আশা প্রকাশ করে। বাংলাদেশ জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণে জাপানের স্টেকহোল্ডারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করে।

 

মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া আলোচনায় উত্থাপিত মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাবে বলে আশ্বাস দেন। তিনি আরও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংস্কার ও অটোমেশন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের আগেই ইপিএ চূড়ান্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

 

জাপানিস ভাইস মিনিস্টার মাতসুও তাকেহিকো এক জরিপের উল্লেখ করে বলেন, ৬০ শতাংশের বেশি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, জাপান সরকার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

 

সংলাপে উভয় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 

বৈঠকে জাপানের পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেসিসিআই) জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশে জাইকা ও জেট্রো অফিসের প্রধান এবং জাপানের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com