টাঙ্গাইলে অবরোধ বিরোধী মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে হেলাল ফকির নামের এক নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে আরও অন্ততঃ দুজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে আদালত এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে শিশু একাডেমির কাছে আবার সংঘর্ষ হয়।
আহত হেলাল ফকির শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সংঘর্ষে হেলাল ফকিরের ছেলে ইব্রাহিম ফকির ও অনুসারী আজিজ ফকিরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাঁদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির বিরুদ্ধে আজ দুপুরে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হকের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। মিছিলটি আদালত এলাকায় গেলে ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন রশীদ আকন্দ সোনা মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল ফকিরের মধ্যে কথা–কাটিকাটি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক সমাধান করে দেন। কিন্তু দুই পক্ষ এলাকায় ফেরার পথে শিশু একাডেমির পাশে আবার সংঘর্ষে জড়ায়
সূত্র জানায়, সংঘর্ষে সাধারণ সম্পাদক হেলাল ফকির, তাঁর ছেলে ইব্রাহিম ফকির ও অনুসারী আজিজ ফকিরকে কুপিয়ে আহত করেন সভাপতি হুমায়ুন রশীদের অনুসারীরা। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর হেলাল ফকিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর দুই হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। অন্য দুজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন রশীদ আকন্দ সোনা মিয়া বলেন, প্রথমে ঘটনা ঘটার পর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছিলেন। পরে তিনি বাড়িতে ফেরার সময় প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরা তাঁর ওপর হামলা করেন। তখন তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর অনুসারীরা পাল্টা হামলা করেন।
সাধারণ সম্পাদক হেলাল ফকিরের অনুসারী ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন বলেন, হুমায়ুন রশীদ পরিকল্পিতভাবে বিনা উসকানিতে হামলা করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু ছালাম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা বা অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
Leave a Reply