দিদারুল আলম সিকদার,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও জালালাবাদ ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঘটে যাওয়া ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে না পেয়ে তার স্ত্রী, দুধের নিরীহ বাচ্চা শিশুকে ধরে এনে আদালতে প্রেরণের অভিযোগ উঠেছে ঈদগাঁও থানার এসআই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, মঙ্গলবার পূর্ব ফরাজী পাড়া এলাকায় প্রতিবেশী মৃত নজীর আহমেদের ছেলে শাহজাহান ও মৃত আবু শামার ছেলে হারুন অর রশীদের মধ্যে নলকূপের পানি চলাচল নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়, এ সময় শাহাজাহান নামের এক যুবক হারুন অর রশীদকে নেইল কাটার তথা নখ কাঁটার যন্ত্র দিয়ে আঘাত করে। হারুন অর রশীদকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে প্রেরণ করেন৷ পরে খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিকেলে শাহাজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় শাহাজাহানকে না পেয়ে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনসহ দুগ্ধপোষ্য এক শিশু এবং ২ বছরের আরো এক শিশুকে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভিকটিম হারুন অর রশীদের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে নাটকীয় কায়দায় মামলা রেকর্ড করে আদালতে সোপর্দ করে। এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শাহজাহানের স্ত্রীকে আটক করে আনা হয়েছে। পরে ভিকটিম হারুন অর রশীদের পরিবার মামলা দায়ের করলে, সে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ আরো জানান, ঘটনাটি মিমাংসা যোগ্য, পুলিশ অতিরঞ্জিত করে নিরহ স্ত্রী এবং নিষ্পাপ দুই শিশুকে ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করেছে। এটি অমানবিক নিষ্ঠুরতা। স্বামী, পিতার দোষে নিরীহ বাচ্চাদের ধরে এনে মামলা দায়ের করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভিকটিমের পরিবার এজাহার জমা দিয়েছে, এজাহারের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। বাচ্চাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় রাখা হয়েছে। স্ত্রীসহ বাচ্চাদের ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী, এমনটাই জানিয়েছেন জালালবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ।
Leave a Reply