নিহত হাসান মেডিসিন কোম্পানী বায়ো ফার্মাসিউটিক্যালস সাপ্লাই চেইন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাত মসজিদ হাউজিং এর ৬ নম্বর রোডে একটি প্লটে ভবন নির্মানের জন্য পাইলিং এর কাজ করার সময় পাইলের খাঁচা ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে যায়, এ সময় রাস্তা দিয়ে নিহত হাসান নামের লোকটি লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের উদ্দ্যেশ্যে যাওয়ার পথে লোহার খাঁচাটি তার মাথার উপর পরলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরেন, তখনই রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই প্লটটির মালিকদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় তারা কোনো নিরাপত্তাবেষ্টনী ছাড়াই কাজ করছিলেন।
তারা আরো বলেন যে, ভবন নির্মান প্রতিষ্ঠান আমাদের কথা কখনো শোনেনি । আজকের এই দুর্ঘটনার জন্য ভবন মালিক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উভয়ই সমান ভাবে দায়ী।
স্বেচ্ছাচারীতার কারনে আজকের এই হত্যাকান্ডের জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে এর কঠিন বিচার চাই। এর আগেও একই প্লটে একই ভাবে পাইলিংয়ের রড ছিঁড়ে পরলেও তখন কেউ আহত কিংবা নিহত হয়নি কিন্ত তার পরেও তারা সতর্ক হয়নি।
সরেজমিন তদন্তে দেখা যায় প্লটটির নির্মাণকাজ চলা কালিন কোনো বাউন্ডারি দেওয়াল অথবা সাইড সেফটি ছিলোনা।
এ ঘটনায় নিহতের বন্ধু আশরাফুল ইসলাম এই প্রতিবেককে জানান , আমি ঘটনা শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি হাসান রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে আছে তখন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিকদার মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে যতদ্রুত সম্ভব ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে, সাথে সাথে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তর তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত হাসানের ১৫ ও ১৬ বছর বয়সী দুই ছেলে ও ৮ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় ৭ নং রোডের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা জানান, আমরা খবর পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।
মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।
(চলমান)
Leave a Reply