পরিবার সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিৎসায় ২৪ এপ্রিল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা গেলো মহেশখালীর পুত্রবধূ শীলা নামের এই প্রসূতি। এমনটি অভিযোগ পরিবারের স্বজনরা। তিনি মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার মাষ্টার সোলাইমানের ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ খানের স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে- আগামী ৬ মে শীলার সম্ভাব্য ডেলিভারির দিন তারিখ ঠিক থাকলেও নিয়মিত চেকআপের জন্য তার স্বামী ইখতিয়ার স্ত্রী শীলাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ডাক্তার ও ইউনিয়ন হাসপাতালে চেম্বারকারী ডাঃ নীনা জিহানের কাছে গত ২১ এপ্রিল নিয়ে গেলে শীলার হিমোগ্লোবিন কমে গেছে রক্ত দিতে হবে বলে পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে শহরের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসূতি শীলাকে। ইউনিয়ন হাসপাতালে ঐ দিন রাতে প্রসূতির ডেলিভারি করতে গিয়ে ডাঃ শাহেদ, নার্স সোমা ও হিমু তার জরায়ু ফুটা করে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন শীলার পরিবার।
পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার জরায়ু কেটে ফেলেন বলে এমনটি অভিযোগ করেন শীলার বাবা কক্সবাজার নুনিয়াছড়ার মোহাম্মদ হোসেন। এসময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে প্রথমে আইসিউতে এবং পরে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়। লাইফসাপোর্টে থাকাকালীন ২৪ এপ্রিল রাতে শীলার মৃত্যু হয়।
২৪ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো গেলো না আফসানা হোসেন শীলাকে। ফুটফুটে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে এবং শীলার মৃতদেহটি নিয়ে পরিবারে কান্নার রোল থামানো যাচ্ছে না। স্বামী ইখতিয়ার ও স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
Leave a Reply