গাবতলী টার্মিনাল এলাকাটি বিভিন্ন দিক দিয়ে বিবেচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত এলাকা , প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবিকা এবং প্রয়োজনের তাগিদে গাবতলী টার্মিনাল হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে , তাই গাবতলী বাস টার্মিনালে অনেকগুলো আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে , দু একটি বাদে প্রায় সবগুলো আবাসিক হোটেলেই অনৈতিক কাজ চলছে , এতদিন অপকর্মগুলো হয়েছিল নীরবে আর এখন তা সরবে শুরু হয়েছে যেমন প্রতিটি হোটেলে ৫/৭ জন করে দালাল থাকে তারা হোটেলের নিচে খদ্দেরের অপেক্ষায় থাকে । গ্রাহকদেরকে হোটেল ভাড়া দেওয়ার কথা বলে এবং নারীদের লোভ দেখিয়ে হোটেল ভাড়া নেওয়ায় উৎসাহিত করে , এ ভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা প্রতিনিয়ত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এর মধ্যে আগমন , স্বাগতম , যমুনা , পূর্ণিমা এবং চাঁদমহল উল্লেখযোগ্য , গাবতলী এলাকাটা যদিও একটি বাস টার্মিনাল তবু ও তার উত্তর দিকটায় রয়েছে বিশাল আবাসিক এলাকা এই এলাকাটা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ড বিশেষ করে গাবতলী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকাটি বাগবাড়ী চারআনি পাড়া , বারোআনি পাড়া, কোটবাড়ি উল্লেখযোগ্য । এই আবাসিক হোটেল গুলোর খারাপ প্রভাব এখন এলাকাবাসীর উপর পড়ছে যদি কেউ এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে যায় তখন তারা বিভিন্ন হুমকি ধামকির সম্মুখীন হয় এমনকি কেস মামলার ও ভয় দেখানো হয় । তাই কেস মামলার ভয় এবং ইজ্জত হারানোর ভয়ে অনেকে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কিন্তু ভিতরে ভিতরে ফুসতে থাকে এভাবেই দু চারজন করতে করতে শত শত জনগণ কিশোর যুবক বৃদ্ধ সকলেই আবাসিক হোটেল গুলোর এই অপকর্ম রুখতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে। তারই ফলশ্রুতিতে গতকাল ৩রা মে রোজ শুক্রবার বারোয়ানী পাড়া মসজিদে বাদ জুম্মা মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি কবির ,সাধারণ সম্পাদক – রহিম খান , নাসির মহাজন , ফরহাদ , আনিস , আব্দুল হাকিম , তাজিম উদ্দিন , ফারুক খান , গোলাম মোস্তফা প্রমূখ , আলোচনায় যে বিষয়টি উঠে আসে তা হলো যে কোন মূল্যে আবাসিক হোটেলগুলোর অনৈতিক কাজগুলো বন্ধ করা আর প্রয়োজন হলে স্থানীয় কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুম , সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাইনুল ইসলাম খান নিখিল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন এ আবাসিক হোটেলগুলোর অনৈতিক ব্যবসার ভাগ বাটোয়ারা স্থানীয় কিছু ছিঁচকে মাস্তান , কিছু হলুদ সাংবাদিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু বিপথগামী লোকও পায়। সকল পরিবেশ পর্যালোচনা করে যা অনুমেয় তা হলো অতি জরুরিভাবে এই সমস্যাটার সমাধান না হলে যে কোন মুহূর্তে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে ।
Leave a Reply