1. : admin :
ময়মনসিংহে পারভীন হত্যার প্রচেষ্টা ও জমি দখলের ঘটনায় মূল আসামিদেরকে বাদ দিয়ে চার্জশিট করায় এলাকায় উত্তেজনা - দৈনিক আমার সময়

ময়মনসিংহে পারভীন হত্যার প্রচেষ্টা ও জমি দখলের ঘটনায় মূল আসামিদেরকে বাদ দিয়ে চার্জশিট করায় এলাকায় উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার
    প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩
ময়মনসিংহে চাঞ্চল্যকর পারভীন ও তার ভাইকে হত্যা ও জমি দখলের প্রচেষ্টার ঘটনায়।।। এফআইআর ভুক্ত ১৩ আসামির মধ্যে আলমসহ ৯জন এস আই রিফাত কর্তৃক চার্জশিট থেকে বাতিল।। আদালত কর্তৃক পিবিআই ময়মনসিংহকে তদন্তের নির্দেশ।চাঞ্চল্যকর পারভীন ও তার ভাই হত্যা চেষ্টা এবং তাদের বাড়িঘর দখলের প্রচেষ্টা ও তার বাগান কেটে সাবাড় করে দেওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় পারভীন(৪০) বাদী হয়ে মামলা নং ১০১/১০১ তাং ২৯/১/২০২৩ দায়ের করলে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ কামাল আকন্দ পিপিএম বার এস আই মোঃ সোহেল রানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।এতে আলমসহ ১৩জনকে মামলার আসামী করা হয়।১৩ জনের মধ্যে কেবল কামালকে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। কিছুদিন পরেই এস আই সোহেল রানাকে বাদ দিয়ে এস আই রিফাত আল আফসারীকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। মামলার বাদী রোকসানা পারভীন অভিযোগ করেন যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রিফাত আল আফসারী ২৭/৫/২৩ তারিখে ১৩ জন আসামি মধ্যে মূল আসামি আলমসহ ৯ জনকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এফআইআর ভুক্ত আসামি আজহারুল ইসলাম, হুকুমদাতা মূল আসামি আলম মিয়া,মাহবুল ইসলাম, বিপুল মিয়া, নাদিম মিয়া, ইকবাল মিয়া,পাপুল মিয়া, মমতাজ বেগম বিউটি,নার্গিস বেগম এই নয় জনকে বাদ দিয়ে মাত্র ৪ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। আলম মিয়া দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর তদবিরের মাধ্যমে এস আই রিফাত এফআইআর ভুক্ত আসামি থেকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করলে তারা এই ফাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে গিয়ে রোকসানা পারভীন ও তার পরিবারের উপর হামলা, জমি দখল, চাঁদা দাবি, মারধর করা,ও পুনরায় হত্যার হুমকি দেয়। চার্জশিট দাখিল করার পর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ১নং আমলী আদালতে দারোগা এস আই রিফাত আল আফসারী দাখিলকৃত চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদী রোকসানা পারভীন এডভোকেট আনোয়ার হোসেন ও এডভোকেট নজরুল ইসলামের মাধ্যমে না রাজি/আপত্তি পত্র দাখিল করেন। তার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক শুনানির পর ময়মনসিংহের পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে পুনরায় তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রফিকুল আক্তার এস আই রফিকুল ইসলামকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।এস আই রফিকুল ইসলাম তদন্তের ক্ষমতা পেয়ে ঘটনাস্থল সদর উপজেলার নিজ কলপায় যান এবং সেখানে গিয়ে রোকসানা পারভীনকে ডাকেন।এরপর রোকসানা পারভীন মারপিট, হামলার ঘটনাস্থল দেখালে, তিনি সেখানে যেতে নারাজ- এই তথ্য জানান রোকসানা পারভীন। পরবর্তীতে দুই জন সাক্ষী নিয়ে পিবিআইয়ের অফিসে যেতে বলেন এস আই রফিকুল ইসলাম।পরবর্তীতে রোকসানা পারভীন বাদল ও আল আমিন এই দুইজন সাক্ষীকে নিয়ে পিবিআই অফিসে যান এবং তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রথমে হারুন অর রশিদ বাদল এর সাক্ষ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে আল আমিনের সাক্ষ গ্রহনকালে এক পর্যায়ে (এস আই) উত্তেজিত হয়ে যান।তখন তিনি বলেন, তুই আল আমিন নাকি নাসির উদ্দিন‌।এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে, তখন উত্তেজিত হয়ে রোকসানা পারভীনের উপর মারমুখী হয়ে মিথ্যাবাদী,মামলাবাজ বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এখানেই শেষ নয় উল্লেখ্য যে, রিফাত আল আফসারী এফআইআর ভুক্ত আসামিদেরই শুধু বাদ দেননি, তিনি সাক্ষীদেরও নাম পরিবর্তন করেন। সাক্ষী আল আমিনের নাম পরিবর্তন করে আসামিদের পক্ষে সাক্ষী নাসির উদ্দিনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।অথচ রোকসানা পারভীনকে মারপিট করার সময়ও সে আসামিদের সাথে ছিলো।এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com