বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মেলনে সংবাদ এ তথ্য জানান নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ। এ ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মোজাম্মেল হোসেন আপেল গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান, উপজেলার আগলা বাজারে দিয়া জুয়েলার্সের মালিক কৃষ্ণ সাহা গত বছরের ৩০ এপ্রিল সকালে টিকরপুরের বাড়ি থেকে অটোরিকশায় দোকানে যাচ্ছিলেন। আগলা পোস্ট অফিসের সামনে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতরা তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের সাওরাইল গ্রামের নির্জন খাদের কাছে কৃষ্ণ সাহাকে মারধর করে ২৫০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০০ ভরি রুপা ও নগদ টাকা লুট করে ডাকাতরা। সেখানেই তাঁকে ফেলে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় মামলার পর অভিযানে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা সাত দিন ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, লক্ষীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ১৭৭ ভরি স্বর্ণ ও ৩৮৬ ভরি রুপা, একটি মাইক্রোবাস, দুটি অটোরিকশাসহ ১৩জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীনুল ইসলামের তত্ত¡াবধানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দোহার সার্কেল মো. আশরাফুল আলম এর নেতৃত্বে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আশফাক রাগীব হাসান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় এঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেলকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২১ ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় ভরি রুপা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তার সহযোগি আইয়ুবকে।
ওসি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
Leave a Reply