প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানা যায়, দোহার উপজেলার পশ্চিম লটাখোলা গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম(২৮) একজন দরিদ্র ফুচকা দোকানদার। প্রতিদিনের ন্যায় ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদী সাইফুল ইসলাম তার ছেলে আশরাফুল(৩) ও বাদীর মা সালমা বেগম(৪৮) রাতের খাবার খেয়ে রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের চৌ-চালা টিনশেড ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন অথাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোররাত অনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় ঘুম থেকে উঠিয়া দেখে দারজা খোলা। দ্রুত উঠিয়া ঘরের লাইট জ্বেলে দেখে বাদীর শয়ন কক্ষে বিছানার উপর বালিশের পাশে থাকা ৩ টি মোবাইল(যার মূল্য অনুমান ২৫ হাজার টাকা) ও বাদীর মায়ের শয়ন কক্ষের বিছানার নিচে থাকা ষ্টীলের আলমীরার চাবি নিয়ে ষ্টীলের আলমীরা খুলিয়া আলমীরার ভিতরে থাকা ১টি স্বর্ণের গলার হার ওজন অনুমান দুই ভরি, ৪ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ওজন অনুমান দেড় ভরি, ৪ টি স্বর্ণের চেইন ওজন অনুমান আড়াই ভরি, ৪টি স্বর্ণের আংটি ওজন অনুমান এক ভরি মোট ৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার(যার মূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা) ও নগদ ৮০ হাজার টাকা নাই। বাদীর ধারণা রাতের যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর সামনের বারান্দার দারজার পূর্ব পাশের টিন কেটে কৌশলে ঘরের দরজার খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে উপরোল্লিখিত মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করিয়া নিয়ে যায়।
বিষয়টি সংক্রান্তে দোহার থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হলে ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, পিপিএম(বার) এর নির্দেশে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় দোহার সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ও অপারেশন পরিকল্পনায় দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই(নি.) মো. জহিরুল ইসলাম সহ দোহার থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামী খোকন খাকে আসামীর ভাড়াকৃত বাসা হতে গ্রেফতার করে। প্রাথমিকভাবে আসামী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং এসময় তার দেখানো মতে তার বাড়ি থেকে চুরি হওয়া ১টি স্বর্ণের গলার হার, ৩টি স্বর্ণের চেইন, ৩টি স্বর্ণের আংটি, ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল সর্বমোট ৪ ভরি ১ আনা ৪ রতি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার(যার সর্বমোট মূল্য আনুমাানক ৪ লাখ টাকা), ১টি অপপো, ১টি স্যামসাং ও ১টি সিমফনি মোবাইল(যার সর্বমোট মূল্য আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা) উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামীর দেখানো মতে তার হেফাজত থেকে উপরোল্লোখিত চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামিকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
দোহার সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে বিভিন্ন এলাকায় কখনো রিকশাচালক, কখনো ফল বিক্রেতা হিসেবে ঘুরে বেড়ায় এবং সুযোগ পেলে ঘর-বাড়িতে চুরি করে বলে স্বীকার করে। ধৃত আসামীর সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি-না সে বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে।
Leave a Reply