রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জোন ৩/১ এর আওতাধীন রূপনগর আবাসিক এলাকায় আবাসিক প্লটে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করে ভবনের ডেভিয়েশন, সেট ব্যাক পরিবর্তন ও ভয়েড না রাখা সহ বেশ কিছু অনিয়ম থাকায় রাজউক কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ভবনের অবৈধ বর্ধিতাংশ অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে ভবন নির্মাণকারীদের নিকট থেকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
অভিযান চলাকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ভবনের মালিক পক্ষ তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা দেন এই শর্তে ভবিষ্যতে যেন অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভবনের বাকি নির্মাণ কাজ না করে।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জোন ৩/১ এর পরিচালক তাজিনা সারোয়ার দৈনিক আমার সময়’কে বলেন, অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে রাজউকের এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত কাজের অংশ। আমরা আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। ভবনের ভয়েড গুলোর স্থানে ছাদ সম্প্রসারিত করা, ডেভিয়েশন করা সহ সেট ব্যাক পরিবর্তন করায় আমরা ২টি ভবন ভেঙে দিয়েছি ও মোট তিন লক্ষ টাকা তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করেছি এবং দারুসসালাম থানা সংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনের বর্ধিত বিম ও কলামের রড কেটে দিয়ে ভূমি মালিককে শর্তক করেছি যেনো পরবর্তীতে রাজউক অনুমোদিত নকশার বাহিরে ভবন নির্মাণ না করেন।
গোলার টেক এলাকার উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে রাজউক জোন ৩/১ এর অথরাইজ অফিসার শেখ মাহাব্বীর রনি দৈনিক আমার সময়’কে বলেন আজ আমরা তিনটি ভবনের বর্ধিত অংশ উচ্ছেদ করেছি এবং ভবন মালিকদের নিকট থেকে নগদ তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা সহ তিন শত টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়েছি যেন পরবর্তীতে আর রাজউকের প্ল্যানের ব্যত্যয় না করে, করলে আইনের আওতায় আনা হবে। জনস্বার্থে রাজউকের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদ সম্পর্কে ইমারত পরিদর্শক সামিউলের অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকের এই উচ্ছেদ আমার কাজের একটি সফলতা। আমার আজ ভালো লাগছে। আগামীতেও এরকম ভালো কাজ করে যেতে চাই।
এই উচ্ছেদ কার্যক্রমে জোন ৩/১ এর সকল ইমারত পরিদর্শক, প্রধান ইমারত পরিদর্শক ও সহকারী অথরাইজ অফিসারগণ এবং জোন ৩/১ এর সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply