র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
গত ৯ জানুয়ারি ২০২৪ ইং দিবাগত রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রামপুরা চিংড়িঘের এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে মোহাম্মদ হোসেন নামক একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে ব্যাপক আলোচিত হয়। র্যাব উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক চৌকস দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী শহিদুল ইসলাম লিটন (৪৫)আবু জাফর (৫০)মোঃ সোহেল (৩৭)আজগর আলী (৪৫)আবুল হোসেন পাখী (৩৫)নাজমুল হোসাইন রকি (২৭)আবদুর রহিম (৪৮) ও অন্যান্য সহযোগী জয়নাল আবেদীন (৫৫)মোঃ শাহিন (২৩)মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (৪৪)প্রদীপ কুমার শীল (৪৮)মোঃ রিদুয়ান (৩১)আবদুল হক (৫৫)মোঃ কাইছার (৩৫), পিতা-মোঃ হারুন, চকরিয়া, কক্সবাজারদের’কে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
দুপুরে কাওরানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানান কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ‘‘রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি’’ এর সভাপতি হিসেবে গ্রেফতারকৃত আবু জাফর এবং সেক্রেটারি হিসেবে শহিদুল ইসলাম লিটন দায়িত্ব পালন করে আসছিল। ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন সমিতির সদস্য হিসেবে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চিংড়িঘের এলাকার ৪৮ একর জমির মধ্যে খামার ঘর তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন, পাশাপাশি চিংড়িঘের পাহাড়ার দায়িত্বেও নিয়োজিত ছিলেন।
সমিতিটিতে প্রায় ৬০০-৭০০ জন্য সদস্য রয়েছে। সমিতির মালিকানাধীন চিংড়িঘেরের সাহারবিলের রামপুর মৌজায় ৫১১২ একরের বিশাল একটি চিংড়িঘের রয়েছে। এর মধ্যে কিছু চিংড়িঘের সমিতির নিয়ন্ত্রণে ছিল না। নিয়ন্ত্রণে না থাকা চিংড়িঘের দখলে নিতে গত ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যার পর থেকে গ্রেফতারকৃত লিটন এর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী চিংড়িঘের এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিতে থাকে এবং এসময় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে কয়েকশত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
এছাড়াও গ্রেফতারকৃত অন্যান্যরা আবু জাফর ও লিটনের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply