দেশে চলছে ভয়াবহ তাপদাহ। আর এ তাপদাহর সাথে পাল্লা দিয়ে তীব্র হচ্ছে লোডশেডিং। রাজধানীসহ সারা দেশে শুরু হয়েছে এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং। গত ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিশেষত ৩১ মে সকাল থেকে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কয়েক দিনের তুলনায় দুর্ভোগ বেড়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো জানায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ফলে বিতরণ এলাকায় লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তাতে ঘাটতি থাকছে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। গরম বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বাড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ১ জুন সকাল থেকে লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছেনে রাজধানীর বিতরণ কোম্পানি ডেসকো। আধা ঘণ্টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা পযন্ত বিদ্যুৎ পাঁচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। তবে দুপুরের পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কথা জানাচ্ছেন গ্রাহকরা। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ৮ বা ৯ জুন বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ ৭ জুন পর্যন্ত দেশের তাপমাত্রা বেশি থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে ৩ জুন পুরোপুরি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পটুয়াখালীর পায়রা। এতে লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে। কয়লার অভাবে এখন উৎপাদন হচ্ছে সক্ষমতার অর্ধেকের চেয়ে কম। ৬০০ মেগাওয়াট করে উৎপাদন করছে কেন্দ্রটি।বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বৃহৎ কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রার উৎপাদন একটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। আরেকটি ইউনিট ৩১ মে বুধবার সন্ধ্যায় ৬২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়েছে। এ ছাড়া রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৩২৫ মেগাওয়াট সন্ধ্যা পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। বিপিডিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৪৭ শতাংশ গ্যাসভিত্তিক। গ্যাসসংকটে গ্যাসভিত্তিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো যাচ্ছে না। এই কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট। গতবুধ বার দিনের বেলায় উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট। ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা সাত হাজার মেগাওয়াটের বেশি।
Leave a Reply