1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
আদাবরে চাঁদাবাজি চুরি ছিনতাই মাদক কারবার ও কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম - দৈনিক আমার সময়

আদাবরে চাঁদাবাজি চুরি ছিনতাই মাদক কারবার ও কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক
    প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
 রাজধানী আদাবর থানা এলাকা যেন এখন কিশোর গ্যাং মাদক ব্যাবসায়ী, মাদকসেবী, চুরি ছিনতাই ও পেশাদার ডাকত দলের  অভয়স্থল।
মোহাম্মপুর, আদাবর  এখন কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে। তাদের অত্যাচারে বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে এই এলাকাটি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক অভিযান এর মধ্যেও থেমে নেই এই এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। সূত্রে পাওয়া যায় এদের বেশীরভাগ  দিনের বেলায় লেগুনা পিক-আপের ড্রাইভার, হেলপার আর সন্ধা নামলেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর এলাকার অলি গলিতে দলবেঁধে শুরু হয় মাদক সেবনের ধুম, আর বেড়ীবাঁধে ছিনতাইয়ের মহোৎসব । সরকার দলীয় রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন এক অদৃশ্য শক্তি তাদের নিজ স্বার্থ হাসিল করতেই এই সকল কিশোর গ্যাংদের আশ্রয়- প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখযোগ্য   কিশোর গ্যাং লিডার পিচ্চি জনি,পিচ্চি কাদের, পারভেজ ও রক্ত চোষা জনি সহধর ,  ভাগ্নে নাঈম, সোর্স আপন ও ইউনুস গ্রুপের সদস্যরাই এলাকার ছিনতাই চাঁদাবাজি, মাদক ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এদের প্রত্যেকের নামেই আদাবর মোহাম্মাদপুর সহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সূত্র আরো জানায় যে এদের সবারই কোনো না কোনো আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে যোগসাজশ আছে, তারমধ্যে ভাগ্নে নাঈম, গাঙচিল বাহিনীর অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী লম্বু মোশাররফের ভাগ্নে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর কয়েকজন  বলেন, প্রতিটি মুহূর্তে কিশোর গ্যাং আর মাদকসেবীদের ভয়ে তারা ভীতসন্ত্রস্ত  থাকে,কখন কার ওপর হামলা করে ও চাঁদা চেয়ে বসে তা যেন বোঝার উপায় নেই আর তাদেরকে চাঁদা না দিলে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে বর্বরোচিত নির্যাতন,এই এলাকাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরো  ব্যাপক তৎপর হওয়া দরকার বলে মনে করেন তারা।
এলাকাবাসী আরো বলেন, এলাকার বসবাসরত মানুষগুলির শান্তি ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন। তাহলে এলাকায় ফিরে আসবে শান্তির হাওয়া।
 এলাকার মাদকসেবী, ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত এখন কিছুতেই যেন দমছে না । আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারো নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তারা।
অত্র এলাকায় বিভিন্ন নামে বেনামে গ্যাং পরিচালনা করা হচ্ছে,তার মধ্যে লও ঠ্যালা, ভাগ্নে বাহিনী, লাড়া দে আরো কত কি?, এই গ্যাং এর সদস্যরা এই এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ও গার্মেন্টসে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে বাড়ির লোকজনকে আহত করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ সকল গ্যাং এর সদস্যদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপু,আদাবর থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
এ  বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর  জোনের এসি জনাব আজিজুল হক এই প্রতিবেদককে জানান,  অত্র এলাকায় কোন কিশোর গ্যাং আর মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান হবে না। আমি এই জোনে  যোগদান করার পর থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,  কিশোর গ্যাং মাদক কারবারিদে সহ দুষ্কৃতি কারীদের দমনে  আমার অফিসার সহ   নিজেকে নিয়োজিত রাখি প্রতি নিয়ত মামলা হচ্ছে আসামী গ্রেপ্তার হচ্ছে কিন্তু বিচারিক ফাঁকফোকর  দিয়ে এরা বেরিয়ে আসছে অনায়াসে যার কারনে  এদের দমনে একটু বেগ পেতে হয় তার পরেও আমরা এদের নিয়ন্ত্রণ করার আপ্রান চেষ্টা করে জাচ্ছি  । মোহাম্মপুর জোনের বিভিন্ন এলাকায় যারা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে তাদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এসকল কিশোর গ্যাংদের এখনই নির্মূল করতে না পারলে আগামীতে নির্মূল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com