দীর্ঘ সাড়ে ১৮ বছর পর বাঘার আলোচিত রেবেকা (১৩) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, রাজশাহী। উক্ত মামলায় বাদীই হচ্ছে আসল হত্যাকারি।
এমন তথ্য নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল ২০২৩) সকাল ১১ টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানা যায়, ২০০৪ সালের ০৯ জুন রাত্রে খুন হয় বাঘা উপজেলার লক্ষিনগর গ্রামের মোঃ আকসেদ আলীর ১৩ বছরের মেয়ে (শিশু) মোঃ রেবেকা খাতুন। এরপর ১০ তারিখে রেবেকার পিতা বাদী হয়ে বাঘা থানায় ধারা ১৪৭/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩০২/ ৪২৭/ ৩৪ পেনাল কোডে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নাম্বার ১৬। সেই মামলায় ২০ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত করে আসামী করা হয়। মামলাটি নিয়ে বাঘা থানার তদন্তকারি কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ ফজলুল হক চার্জশিট দিলে মামলার গতি থেমে যায়। পরে ২২ সালে পিবিআই এর কাছে মামলাটি আসলে পুনরায় তদন্ত শুরু হয়। মামলাটি নিয়ে গভীর পর্যালোচনা ও সাক্ষিদের জবানবন্দীতে মামলাটির আসল রহস্য বেরিয়ে আসে।
এক পর্যায়ে জানা যায়, এই মামলার বাদী অর্থাৎ শিশু রেবেকা’র পিতা আকসেদ আলী এই হত্যা করেন। এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন বাদীর ১ম স্ত্রী মোসাঃ ভায়লা বেওয়া (৬৫) এবং ২য় স্ত্রী মোসাঃ আফিয়া বেওয়া (৬০)। এমন তথ্য উল্লেখ করে গত ৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট কাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
এই মামলা সম্পর্কে আরও জানা যায় যে, ঐ এলাকায় বাদী এবং আসামীদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজামা সংক্রান্ত মামলা চলছিল, যা এখনও চলমান আছে। মুলত সেই সকল মামলা থেকে ফাইদা নিতে বাদী এমন ঘটিয়েছেন। পরে নিজের মেয়েকে হত্যা করে পুর্বের মামলার বিবাদীদের আসামী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এএসপি আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, বাদী আকসেদের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী’রা মুখ খুলেছেন এবং তারা বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এতদিন পর তার স্ত্রীরা কেন এই তথ্য প্রকাশ করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতদিন তারা স্বামির ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। তবে মামলাটি আরও অনুসন্ধান চলছে, এই হত্যার সাথে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে, আমরা সেটা উদঘাটন করার চেষ্টা করছি।
Leave a Reply