চাঁদার কবল থেকে মুক্ত নয় রাস্তার পাশের দোকানিরাও। হাতিকে টাকা দেওয়া ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনা সামনে দিয়ে।
আবার টাকা কম দিলেও না নেওয়ার অভিযোগ হাতি পরিচালকের বিরুদ্ধে। আর এতে ভোগান্তিতে আছে এই রোডে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেললার ভবানীগঞ্জ এলাকায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন দুই যুবক। এক সপ্তাহ আগেও এই রোডে চাঁদাবাজি করতে দেখা গেছে এই যুবককে।
জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কের মাঝে যানবাহন থামিয়ে ইচ্ছে মতো চাঁদা আদায় করছিলেন তিনি। চাঁদা আদায় ছাড়া কোনোভাবেই তার বাধা অতিক্রম করতে পার ছিলনা চালকরা। কেউ কেউ হাতিকে এড়িয়ে যেতে দ্রুতগতিতে বিপদজনকভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতেও দেখা গেছে। চাঁদা না দিলে হাতি দিয়ে ভয় দেখানোর অনেক অভিযোগও পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী সিএনজি চালক মনির হোসেন জানান, ৩০ টাকার ক্ষেপে ১০ টাকা চাঁদা দিলাম, আর এটাই শেষ না, আবার দেখা হলে আবারও দিতে হবে। আমরা ব্যস্ত সড়কে বিপদজনক হাতি দেখতে চাইনা। বনের প্রাণী বনে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তবে হাতির পরিচালক এটাকে চাঁদাবাজি মানতে নারাজ।
তিনি বলন, সার্কাস বন্ধ থাকায় হাতিকে লালন-পালন করতে মানুষের কাছ থেকে ১০-২০ টাকা চেয়ে নিচ্ছেন। কেউ না দিলে তার ব্যাপারে কোনো জোরাজুরি নেই।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে শেষ পর্যন্ত হাতিটি নিরাপদেই ত্যাগ করে অন্য এলাকায় ডুকে পড়ে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, হাতি বা বন্যপ্রাণী নিয়ে সড়কে চাঁদাবাজি করা দুঃখজনক এবং অমানবিক। শিগগিরই এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply