* দেশের অর্থনৈতিক (বাণিজ্যিক) সম্প্রসারণের প্রাণকেন্দ্র টেকনাফ স্থল বন্দর
সীমান্তের টেকনাফ স্থল বন্দর দেশের সর্ব দক্ষিণের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। এই বন্দরের বিপরীতে মায়ানমারের মংডু স্থল বন্দর অবস্থিত। মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক ও সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সীমান্ত বাণিজ্য চালু করা হয়।
টেকনাফের ব্যবসায়িদের প্রাণকেন্দ্র এ বন্দর দেশের অর্থনৈতিক (বাণিজ্যিক) সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি আলহাজ্ব এজাহার মিয়া কোম্পানির পরিবারের ব্যবসায়িক ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাঁরই সুযোগ্য সন্তান সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি এবং সহধর্মিণী শাহীন আক্তারের নেতৃত্বে টেকনাফের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক এ বন্দর এবং তার আশপাশ দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের ধোঁয়া তুলে বন্দরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বন্দর সংশ্লিষ্ট এবং ব্যবসায়িরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
সরকার বন্দর প্রতিষ্ঠা করেছে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং বাণিজ্যিক সুফলে তারই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ বন্দর অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে। এমতাবস্থায় কিছু অসাধু চক্র বন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের কথিত অভিযোগ তুলে ব্যবসায়িদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
সিএন্ডএফ ব্যবসায়িরা জানান, বন্দর প্রতিষ্ঠাকাল থেকে টেকনাফের ব্যবসায়ীক ভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। আলোকিত হয়েছে এ জনপদ। ব্যবসায় ঝুঁকেছে স্থানীয়রা। যাদের অনেকে আজ দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। সিআইপি স্বীকৃতি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ি নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে অনেকে।
টেকনাফ বন্দর হওয়ার পর থেকে এখানকার স্থানীয় যুব সমাজ ব্যবসায় নিজেদের মনোনিবেশ করেছে। এগিয়ে এসেছে অনেক বিত্তবান ও ব্যবসায়ী মনোভাবাপন্ন মানুষ। যাদের শ্রমে, ঘামে এবং হাড়ভাঙ্গা নিরলস পরিশ্রমে এ বন্দর দেশে সুনাম কুড়িয়েছে।
সিএন্ডএফ সভাপতি ও টেকনাফ বন্দরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি আবদুল আমিন জানান, বন্দর এবং ব্যবসায়ীদের উন্নতি সহ্য করতে না পেরে অসাধু চক্র নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারই অংশবিশেষ স্বর্ণ চোরাচালানের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। যা মোটেও কাম্য নয়। চোরাচালান এবং যেকোন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দ সবসময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করছে।
সিএন্ডএফ সাধারণ সম্পাদক, পৌর কাউন্সিলর এহতেশামুল হক বাহাদুর জানান, বন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত শৃঙ্খল। এখানে চোরাচালান বা কোন অপরাধের সুযোগ নেই।
পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস শুক্কুর সিআইপি বলেন, বন্দর আছে বলে টেকনাফ ব্যবসায়ীক দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা সরকার থেকে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি প্রাপ্ত। স্বর্ণ, মাদক-সন্ত্রাসসহ যে কোন অপরাধ দমনে এখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিনিয়ত তৎপর রয়েছে।
মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের সত্বাধিকারি ওমর ফারুক সিআইপি জানান, বন্দর নিয়ে সাজানো গল্পগুজব গুলো ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকারক। বন্দরের সার্বিক উন্নতিতে আমরা সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply