সাবিনা ইয়াসমিন (জন্মঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪) একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী। দেশাত্মবোধক গান থেকে প্রায় চার দশক ধরে বাংলা গানের বিভিন্ন ধারার নানান (উচ্চাঙ্গ ধ্রুপদ, লোকসঙ্গীত থেকে আধুনিক বাংলা গানসহ চলচ্ছিত্র) মিশ্র আঙ্গিককের সুরে শিল্পীর অবাধ যাতায়তে সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন-এর খ্যাতি বিশ্বব্যাপী । সব ক’টা জানালা খুলে দাও না, মাঝি নাও ছাড়িয়া দে, সুন্দর সুবর্ণ-এ ধরনের অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী তিনি। ছায়াছবিতে ১২ হাজারের মতো গান করছেন তিনি[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। দশবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর। পৌত্রিক বাড়ি সাতক্ষীরায়।[২] তাঁর ৫ বোনের মাঝে ৪ বোনই গান করেছেন।তারা হলেন ফরিদা ইয়াসমিন, ফওজিয়া খান, নীলুফার ইয়াসমিন এবং সাবিনা ইয়াসমিন।তাঁর বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন যখন গান দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে তখন ছোট্ট সাবিনাও উপস্থিত থাকতেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে একটানা ১৩ বছর তালিম নিয়েছেন।মাত্র ৭ বছর বয়সে স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নেন। ছোটদের সংগঠন খেলাঘরের সদস্য হিসেবে রেডিও ও টেলিভিশনে গান গান নিয়মিত। ১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং ‘মধুর জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে তিনি প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আতœ প্রকাশ করেন।তবে ‘নতুন সুর’ ছবিতে প্রথম গান করেন তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে।সাবিনা ইয়াসমিন;যিনি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের ভূবনে বিচরন করছেন-বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ বোধ হয় এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রেখে চলতে পারেন নাই।গত কয়েক দশকে তিনি সর্বমোট কত হাজার গান গেয়েছেন তার সঠিক হিসেব হয়ত সাবিনা নিজেও দিতে পারবেননা তবে মরমী শিল্পী সেই আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে একালের কোন উঠতি গায়কের সাথেও অবিরাম গেয়ে চলেছেন একের পর এক গান।সুযোগ পেয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর,ডি,বর্মণের সুরে গান গাওয়ার, বিখ্যাত কিশোর কুমারের ও মান্না দের সাথেও ডুয়েট গান গাওয়ার। ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে ‘ডক্টরেট” ও লাভ করেছেন।সাধারণত চলচ্চিত্রের গানেই তিনি বেশী কন্ঠ দিয়েছেন। চলচ্চিত্রে প্রায় ১২ হাজারের মতো গান করছেন তিনি। দশবার জিতেছেন জাতীয় পুরস্কার।
Leave a Reply