আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সমঝোতা সম্ভব নয়। বিএনপি যে দাবিগুলো করছে তাতে তারা সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বনানীর হোটেল শেরাটনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঢাকায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দল এখানে কোনো মধ্যস্থতা করতে আসেননি। তাদের সঙ্গে কথা বলে সেটাই মনে হয়েছে। তিনি বলেন, তাদেরকে আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটা বাতিল বিষয়কে সামনে নিয়ে এসে ও সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি করে বিএনপি সমঝোতার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা আমাদের থেকে জানতে চেয়েছে, নির্বাচন এর প্রশ্নে কোনো কম্প্রোমাইজ অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্টের সুযোগ আছে কিনা? আমরা বলেছি, বিরোধীদের দাবি শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিতে হবে- সংবিধান লঙ্ঘন করে এসব দাবি মানা সম্ভব নয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে ছাড়, সমঝোতা বা আপোশ সম্ভব নয়। কাদের বলেন, তাদের কথাবার্তা পজিটিভ মনে হয়, বায়াস মনে হয়নি। আমরা আমাদের টকশো টেলিভিশনে উপস্থাপক পক্ষ নিয়ে ফেলে, কিন্তু এ প্রতিনিধিদল কারো পক্ষে মনে হয়নি। ভায়োলেন্সের আশঙ্কা আছে কিনা পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন দল যা বলেছে, আমরা জবাব তাদের জানিয়েছি। আইনের ভুল ব্যাখ্যা ও তথ্যের সঠিকতা নিয়েও জানিয়েছি। এমন গুজব তারা ছড়িয়েছে, তার জবাব তো আমাদের দিতেই হয়। তারা এখানে মধ্যস্থতা করতে আসেনি। একটা অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চায়। আমরা বলেছি, এটা আমরাও করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের জন্য এসেছেন। অন্যান্যের মতো আমাদের সঙ্গে বসেছে। নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তাদের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেছি। ৮২টি সংস্কার শেখ হাসিনার সরকার করেছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার জানিয়েছি। বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য মো. এ আরাফাত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের এ প্রতিনিধি দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় এসেছে। প্রতিনিধি দল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছে। এরপর ১০ অক্টোবর দলটি বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে।
Leave a Reply