1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
শ্রম খাতের উন্নয়নে শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে : শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা - দৈনিক আমার সময়

শ্রম খাতের উন্নয়নে শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে : শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

Reporter Name
    প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

শ্রম খাতের উন্নয়নে সকল অংশীজনের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ও টেকসই উন্নয়ন সাধনে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা হচ্ছে। গতকাল জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫৩তম গভর্নিং বডির অধিবেশনে বাংলাদেশের শ্রমখাতের উন্নয়ন নিয়ে দেওয়া ভাষণে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

এ কথা বলেন। অধিবেশনে আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত অধ্যাপক লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

গত নভেম্বরে সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে দ্বিতীয়বারের মতো এক্ষেত্রে অগ্রগতির ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়েরকৃত মামলাগুলোর অধিকাংশ বাতিল করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ত্রিপক্ষীয় কমিটিগুলোতে প্রকৃত শ্রমিক ও মালিকের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে।

শ্রম উপদেষ্টা জানান, জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কাউন্সিলের সভায় চলমান শ্রম আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে আইনটির আওতা অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা, তত্ত্বাবধান ও প্রশাসনিক পদের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সম্প্রসারণ, অন্যায্য শ্রম আচরণ ও ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্যের শাস্তি তিনগুণ বর্ধিতকরণ, শিশুশ্রমের শাস্তি পাঁচগুণ বর্ধিতকরণ, জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ, কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য ও সহিংসতা এবং জবরদস্তি শ্রমের শাস্তি নির্ধারণ, শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তকরণ নিষিদ্ধ ও এর শাস্তির বিধান সংযোজনে ত্রিপক্ষীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও বাধ্যতামূলক সভা কমিয়ে আনা, ১০ কার্যদিবসের মধ্যে শ্রমিকের সংখ্যা প্রদানে মালিকের বাধ্যবাধকতা ও একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত ইউনিয়নের সংখ্যা তিনটি থেকে পাঁচটিতে উন্নীতকরণেও সকলের ঐকমত্য হয়েছে বলে তিনি অবহিত করেন। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য ন্যূনতম কর্মীর শতকরা হার বা সংখ্যার বিষয়-সহ কিছু বিষয়ে এখনো ঐকমত্য অর্জিত নাহলেও ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে তা অর্জিত হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। এর মাধ্যমে অচিরেই সরকার অধ্যাদেশ জারি করে আইনটির সংশোধন সুসম্পন্ন করবে বলেও তিনি জানান।

শ্রম উপদেষ্টা আরো বলেন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসমূহের জন্য ইপিজেড শ্রম আইন সংশোধনে অংশীজনের সাথে আলোচনা চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের পর বিদ্যমান ইপিজেড শ্রম আইন ও সংশোধিত বাংলাদেশ শ্রম আইনের মধ্যে ফারাক বিশ্লেষণ করে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য বিদ্যমান এসওপি অনুযায়ী শতকরা পঞ্চাশ ভাগ অঘোষিত পরিদর্শন হয়ে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিদর্শকের শূন্যপদসমূহে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com