বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মূখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনের পর একের পর এক বেরিয়ে আসে ঠলের বিড়াল ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের আমলা এমপি মন্ত্রী ও সরকারী কর্মকর্তাদের পাহাড় পরিমান দূর্নীতি ও অনিয়মের খবর।তার মধ্য অন্যতম হলেন শেখ পরিবারের সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ভূমিদস্যু সালাম খান।
সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ উঠেছে খুলনা জেলার আলোচিত ভূমিদস্যু সালাম খানের বিরুদ্ধে ।খবর নিয়ে জানা যায় সালাম খান এর জম্মস্থান ঝালকাঠির নলছিটিতে চাকুরী বা ব্যবসার সুবাধে দীর্ঘদিন ধরে খুলনায় বসবাস করেন তিনি। অভিযোগ আছে সালাম খান শেখ পরিবারের প্রভাবশালী এক নেতার প্রভাব খাটিয়ে খুব অল্পসময়ে বনে গেছেন কোটিপতি।
শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত সালাম খান খুলনা জেলার অধিকাংশ নিরীহ মানুষের জমি ও দোকানপাট জোরপূর্বক দখল করেছেন ।তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্থানীয় লোকজন।সালাম খান দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল,সরকারি সম্পত্তি অধিকরণসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকাই তার কাজ।সালাম খানের হাত থেকে রেহাই পায়নি স্থানীয় সেনা সদস্য গৌতম কুমার ও সাংবাদিক মোঃ গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার ।
ভুক্তভোগী সেনা সদস্য গৌতম কুমার ও গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,আমরা মূল খতিয়ানে জমির মূল মালিক সন্ধ্যা রানীর কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করি সরকারী সকল বিধি মোতাবেক । তিনি বলেন, খুলনার বটিয়াঘাটার অন্তরায় কৃঞ্চনগর মৌজার সি এস- ১৬১ নং খতিয়ান হইতে এস.এ-২০৩ খতিয়ানে ৫২৩ দাগ হইতে বর্তমান জরিপে বি আর এস-১৬৯ খতিয়ানে ১১০১ নং দাগে বিলান ৪.৬৭ একর জমির মধ্যে ০.০৯৯০ একর নালিশি জমি। উক্ত দাগ বা খতিয়ানের জায়গাটি ২০১০ সালে সন্ধ্যা রানী রায় ক্রয় করার পরে জায়গাটিতে চতুর্দিকে পাচিলসহ ভিতরে আধা-পাকা টিনসেট বিল্ডিং তৈরি করেন এবং জায়গাতে নিয়মিত যাওয়া আসা করেন। তবে উনার পরিবার আমেরিকাতে বসবাস করার সুবাদে তিনি যাওয়া আসার ভিতর থাকতেন।
তারা আরো বলেন,এরই মধ্য সালাম খানের বিরুদ্ধে বর্তমানে আমরা বটিয়াঘাটা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ ও করেছি এই মাসের ২৪ তারিখে বসার তারিখে রয়েছে।
সুধু তাই নয় সালাম খান কৌশলে জায়গাটি দখল করার
জন্য খুলনা ব্রাঞ্চের এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের
একটা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন।সাইনবোর্ডের বিষয়ে উক্ত ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না আগের ম্যানেজার বসিয়েছে সেটা তিনি জানেন ।
অবৈধ দখল দার সালাম খান তার গুন্ডা ও বাহিনী নিয়ে বটিয়াঘাটা থানা কৃঞ্জনগর মৌজাতে কোন একটা জমি দখল করার জন্য যায় কিন্ত যে কোন কারনে সেদিন ঐ জমি সে দখল করতে ব্যার্থ হয়।পরবর্তীতে পাশের সন্ধ্যা রানী রায়ের জায়গায় ওঠে এবং পরিতক্ত খালি বাড়ী পেয়ে সে খোজ খবর নিয়ে যখন জানতে পারে এটা একটা হিন্দু মহিলার জায়গা এবং সে আমেরিকাতে থাকেন, তখন সে বলে এটা দখল করবো আজ থেকে এটা আমাদের!
তাদের নিজ নিজ জায়গায় যাওয়া আসা সহ দেখা শুনা করছে এবং জায়গার কর খাজনা পরিশোধ করে আসছে।ঝামেলা বাধছে সালাম খান দখল এর পর প্রথম মালিককে নিয়ে সে গুটি চালা শুরু করে এবং পেশির বলে জায়গা দখল করে।পরবর্তীতে প্রথম মালিককে দিয়ে পুনরায় সালাম খান ২য় দলিল তৈরি সহ তাকে দিয়ে দুই তিন বেচাকেনার প্রথম দলিল বাতিল চেয়ে কোর্টে মামলা করেন।
এখানে তার মূল উদ্দেশ্য এই মামলার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে জায়গা ধরে রাখা এবং মূল মালিক আমেরিকার মহিলাকে হয়রানী করা।এত কিছু ঘটনার পর সাবেক মালিক সন্ধ্যা রানী একটা উচ্ছেদ মামলা করেন কিন্তু তার উকিলও সালাম খানের নিকট সম্ভবত বিক্রি হয় যায় ।
কেননা তারা মাসে তিনটা করে দিন পড়ছে বলে খরচের টাকা নিত সন্ধ্যা রানী রায় বিদেশ থেকে এই টাকা যোগান দিতে দিতে সে ক্লান্ত হয়ে যায়! এখন আর কেস চালায় না! তবে ওটা রানিং রয়েছে।ভূমিদস্যু এই সালাম খান এখানে শান্ত হয়নি!! সে সন্ধ্যা রানী রায়কে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে! সে যখন দেশে এসে জমি বিষয় ন্যায় বিচার নিয়ে কাজ করতে যান। দেশে আসলে খুলনা শহরে সন্ধ্যা রানী যখন বসবাস করতেন এই সালাম খান তার বাসার নিচে গিয়ে জমি বিযয় কোন কিছু না করার জন্য হুমকি দিয়ে আসেন।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে সালাম খান তার কৌশল পরিবর্তনের অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে অন্তবর্তী ইউনূস সরকারের অধীনে তার দখলকৃত সম্পত্তি রক্ষার জন্য তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি তার অবৈধ সম্পদকে বৈধতা দিতে নানাভাবে প্রশাসনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন।বিভিন্ন ভুক্তভোগী বর্তমানে প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন করেছেন। বটিয়াঘাটা ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, সালাম খানের অবৈধ কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,জায়গাটিতে সন্ধ্যারাণী রায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন,কিন্তু উনি দেশের বাহিরে থাকার সুবাদে খালি পড়ে থাকা জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছেন সালাম খান।
সরজমিন খবর নিয়ে জানা যায় গেছে, সালাম খান বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সাধারণ মানুষের জমি দখল করেছেন। এ ছাড়া সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করে তার নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সালাম খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা আমি কারো সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করিনি।
Leave a Reply