সুন্দরবন থেকে শিকারকৃত হরিণ আটকের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইসমাইল সানা(৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়েছে শিকারী চক্রের সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যায় শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালীনির মাসুদমোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। উপজেলার দাতিনাখালী গ্রামের মৃত জব্বার সানার ছেলে ইসমাইল সানা সুন্দরবন সহব্যবস্থাপনা কমিটি (সিপিজি) এর সদস্য। এঘটনার পর দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন সুরক্ষায় তৎপর ঐ ব্যক্তিকে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
হামলার শিকার ইসমাইল সানা জানান গত ৯ এপ্রিল তারা সুন্দরবন টহলে যান। এসময় চুনা নদীর নন্দের খাল এলাকায় একটি নৌকা ফেলে চার ব্যক্তিকে বনের মধ্যে দ্রুত পালাতে দেখেন। একপর্যায়ে পরিত্যক্ত নৌকায় তল্লাশী করে তারা মৃত দু’টিসহ শিকারকৃত মোট তিনটি হরিণ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে জীবিত হরিণ কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কে অবমুক্তের পাশাপাশি মৃত দু’টিকে সেখানকার মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়।
ভুক্তেভোগী ইসমাইলের ভাই তমাল সান্ াবলেন, গত ১০ এপ্রিল লোকালয়ে ফিরে আসার পর গত শনিবার সন্ধ্যায় একই এলাকার আলম সানা মোবাইলে তার ভাইকে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে মাসুদমোড় এলাকায় পৌছানোর পর শিকারী চক্রের অপর আব্দুল আলিমকে নিয়ে আলম ইসমাইলকে বেপরোয়া মারপিট করে। তাদের অনুসন্ধানে উক্ত তিন হরিণ শিকারের সাথে আলমসহ চারজনের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করার জেরে তাকে রক্তাত্ত্ব করা হয়েছে বলেও তমালের দাবি।
অভিযোগের বিষয়ে আলম সানা জানান, আপন ভাই গেলেও তিনি বনে যাননি। তারপরও হরিণ শিকারের সাথে তাকে জড়ানোর কারনে সামান্য বাদাননুবাদ হলেও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জার হাবিবুল ইসলাম জানান, হরিণ শিকারীরা সাম্প্রতিক সময়ে বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যদের টার্গেট করছে। মাত্র তিন মাস আগেও হৃদরোগে আকান্ত একটা অসুস্থ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে খোদ হরিণ শিকারীরা। এঘটনায় হামলার শিকার সিপিজি সদস্যকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply