বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশের কারনে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশেই সু পরিচিতি লাভ করেছেন বহু আগে। বাংলাদেশেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু দেশের কিছু অসাধু জেলেরা প্রতিদিনই এ ইলিশের বাচ্চাগুলো স্বীকার করছে। আর এর কারণেই প্রতিবছর ইলিশের যে চাহিদা থাকে তা পূরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বহু আগে থেকেই সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ ইলিশ মাছের বাচ্চা বা ঝাটকা ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। জেলেদের তা জানা সত্ত্বেও পুলিশের চোখ আড়াল করে প্রতিনিয়তই ধরে থাকেন এই ঝাটকা বা ইলিশের বাচ্চা । যা সত্যিই দুঃখজনক।
গতকাল ভোর রাতে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানাদিন তারাবুনিয়ার মাস্টার ঘাট থেকে বিপুল পরিমাণ ইলিশের বাচ্চা ধরে জেলেরা সুরেশ্বর এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ওবায়দুল হক ও তার সঙ্গীও ফোর্সরা জেলেদের ধরতে সক্ষম হন। মো: ওবায়দুল হক জানান আমরা সব সময় এ অবৈধ ইলিশের বাচ্চা না ধরার পেছনে কাজ করি। কিছু কিছু সময় তারা আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাছ নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে সব সময় চেষ্টা করি দেশের এ সম্পদকে রক্ষা করার। পরবর্তীতে ভেদেরগঞ্জ উপজেলার ইউনো অনিন্দ্র মন্ডলের নির্দেশনায় তাদের জরিমানা সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং মাছগুলো সখিপুর থানার বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং এতিম খানায় ফ্রিতে দেয়া হয় যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ।
জানা যায় সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ওবায়দুল হক এ থানায় যোগদানের পর থেকে সব ধরনের অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা , মাদক, চাঁদাবাজি সহ সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। পূর্বের তুলনায় এ থানার বাসিন্দারা নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করছেন। জনসাধারণের প্রশংসা ও দোয়ায় ভাসছেন সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো:ওবায়েদুল হক।
Leave a Reply