দিদারুল আলম সিকদার, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের রামু উপজেলার আওতাধীন চাকমারকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মিয়াজিপাড়ায় দোকানের বাকি টাকা চাইতে গেলে সংঘবদ্ধ ভাবে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ছাত্রলীগ নেতাকে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে, উক্ত ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
আহত ব্যক্তি হলেনঃ-কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ন বিন কাশেম হিরু (২৯) পিতা- মীর কাশেম, সাং- নিয়াজি পাড়া, ০২নং ও চাকমারকুল ইউপি, থানা- রামু, জেলা- কক্সবাজার।
হামলাকারীরা হলেনঃ-১। নজিবুল করিম (২৯) পিতা- মৃত নুরুল হুদা, ২। মোঃ মোরশেদ (২৩) পিতা- মৃত নুরু হুদা, উভয় সাং- মিয়াজি পাড়া, ০২নং ওয়ার্ড, চাকমারকুল ইউপি, থানা- রামু, জেলা-কক্সবাজার।
হুমায়ন বিন কাশেম হিরু(ভিকটিম) বলেনঃআমি একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী হই।কলঘর বাজার স্টেশনে আমার একটি ক্রোকারিজ ও ইলেক্ট্রনিক দোকান আছে। বিবাদীরা আমার প্রতিবেশী হয়। ইতিপূর্বে ১নং বিবাদী আমার দোকান হইতে বাকি করে। আমি বিবাদীর নিকট হইতে বাকি টাকা চাহিলে, বিবাদী আমাকে মারধর করার হুমকী দেয়।
তিনি আরও বলেন,এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯/০৩/২০১৩ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২:৩০ ঘটিকার সময় দোকান থেকে বসায় যাওয়ার পথে আসামিরা আমাকে মারধর করে।১নং আসামি নজিবুল করিম আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ২,০০,০০০/- টাকা নিয়া ফেলে।আমার শোর চিৎকার শুনিয়া আশে পাশের লোকজন এবং সাক্ষীগণ আগাইয়া আসিতে দেখিয়া বিবাদীরা আমাকে আরো মারিবে, কাটিবে, হত্যা করিবে এবং হত্যা শেষে লাশ গুম করিবে বলিয়া হুমকী দিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।আমার মোটর সাইকেলও ভাংচুর করেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়ঃ- ঘটনার দিন গত ২৯/০৩/২০১৩ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২:৩০ ঘটিকার সময় বাদীর মালিকানাধীন এফাসি 4V মোটর সাইকেল, যাহার রেজিস্ট্রেশন নং- কক্সবাজার ল-১১-৮৬৯৪ যোগে বাড়ী হইতে দোকানে যাওয়ার পথে, পথিমধ্যে ঘটনাস্থল চাকমারকুল ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়া সাকিনস্থ নুর নবীর দোকানের সামনে রাস্তার উপর গিয়া পৌছিলে, বিবাদীরা পরস্পর যোগ সাজসে একই উদ্দেশ্যে সাধণ করে হাতে ধারালো কোদাল, দা নিয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া আমার চলার গতি রোধ করতঃ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিয়া এলোপাতাড়ী ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ও ফুলা জখম করে এবং ১নং বিবাদী সে তাহার হাতে থাকা ধারালো কোদাল দিয়া আমাকে প্রানে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে কোপ মারে। উক্ত কোপের আঘাতে বাদীর বাম হাতদ্বারা প্রতিহত করিলে, বাদীর বাম হাতের বৃদ্ধা আংগুলের নীচে পড়িয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা দায়ের কাধা দিয়া বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপুরি আঘাত করিয়া থেতলানো জখম করে। ১নং বিবাদী বাদীর পরিহিত প্যান্টের পকেট হইতে নগদ ২,০০,০০০/- টাকা নিয়া ফেলে। বিবাদীরা বাদীর মোটর সাইকেল ভাংচুর করিয়া অনুমান ৬০,০০০/- টাকা ক্ষতি সাধন করে।সাক্ষীগণ বাদীকে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করে। উক্ত হাসপাতালের ডাক্তার বাদীর শরীরের জামীর অবস্থা বেগতিক দেখিয়া কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতারা বলেনঃ- একজন সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার রামু উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করে হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এবিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ বলেনঃ-তাদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার পেয়েছি ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply