রাজউক জোন- ৩/২ এর সহকারী অথোরাইজ অফিসার মামুনের ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতি আর অনিয়মের কারনে অতিষ্ঠ অত্র এলাকার ভবন নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এলাকাবাসীর এমনই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। , সাম্প্রতিক সময়ে তার ঘুষ বাণিজ্য আর অনিয়ম নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন । অভিযোগ উঠেছে, রাজউকে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি অস্বাভাবিক হারে অবৈধ সম্পদ বৃদ্ধির পথে হাঁটছেন। বিভিন্ন সূত্রের দাবি তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা তার স্বাভাবিক আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিষয়টি তার সহকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তদন্ত সূত্র বলছে, জোন- ৩/২ এর অথোরাইজ অফিসার শেগুপ্তা শারমিন ও সহকারী অথোরাইজ অফিসার মামুনের যোগসাজশে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান আর ইমারত বিধিমালা ভঙ্গ করার কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করে ইমারত নির্মাণকারী ডেভেলপার কোম্পানি বা মালিক পক্ষকে অফিসে ডেকে এনে দফারফা করাই তাদের অবৈধ আয়ের অপকৌশ। জোন-৩/২ এর এলাকায় ভবনের প্ল্যান পাশ সহ মিটিং এ ১,৫০,০০০/২,০০০০০ টাকা নেওয়ার অভিযো উঠেছে, শেগুপ্তা ও মামুনের বিরুদ্ধে।
এ সব টাকা যারা অগ্রীম দিচ্ছে তাদের ফাইল, মিটিং এ পাশ হচ্ছে, আর যারা না দিচ্ছে তাদের ফাইল ডাউন করে দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে।
আর এ সব কিছু, শেগুপ্তা শারমিন এর দিকনির্দেশনায়, মামুন নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানা যায়।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ৩/২ এর অথোরাইজ অফিসার শেগুপ্তা শারমিনের মুঠো ফোনে, ফোন করলে তিনি তা রিসিভ করেননি, হোয়াটস এ্যাপের ক্ষুদে বার্তারও কোনো জবাব দেননি তিনি , সহকারী অথোরাইজ অফিসার মামুনকে ফোন করলে তিনি এ সব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন।
রাজউক জোন-৩ এর পরিচালক সালেহ আহ্ম্মেদ জাকারিয়া বলেন, এ সব বিষয়ে যথাযথ প্রমান পাওয়া গেলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষ দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত সাস্তি নিশ্চিত করবে।
শেগুপ্তা ও মামুনের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগুলো ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জোন-৩ /২ এর সাধারণ জনগণ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিত বলে দাবী করেন, যাতে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হয়। প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত এবং দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান ওই এলাকার সাধারণ জনগণ।
Leave a Reply