1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
রাজউকের কর্তাবাবুরা যখন নীরব রয়  ৮ তলার অনুমোদনে ভবন ১০ তলা হয়! - দৈনিক আমার সময়

রাজউকের কর্তাবাবুরা যখন নীরব রয়  ৮ তলার অনুমোদনে ভবন ১০ তলা হয়!

শাহ্ আলম
    প্রকাশিত : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তাদের নীরবতার কারণে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন মোহাম্মদপুরের এক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা । ৮ তলার অনুমোদন নিয়ে প্রকাশ্যে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করার খবর পাওয়া গেছে ।
মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১০ নম্বর রোডের ৬/এ নম্বর হোল্ডিংয়ে এমন এক  ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
‘দৈনিক আমার সময়’ এর অনুসন্ধানী তথ্যে পাওয়া যায় যে, মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির ১০ নং রোডে পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা (সুইজারল্যান্ড প্রবাসী) নিজের ক্ষমতা আর অর্থের জোরে ইমারত বিধিমালা না মেনে এই ভবন তৈরি করছেন। অভিযোগ রয়েছে ৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ১০ তলা ভবন নির্মাণের কারসাজিতে সহযোগিতা করছেন রাজউকের ইমারত নির্মাণ পরিদর্শক আব্দুস সাত্তার ও অথোরাইজড অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বছর তিনেক আগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে নির্মাণাধীন ভবনটির ৯ তলা ও ১০ তলার ছাদ ভেঙে দেয়। একইসঙ্গে ভবনের অবৈধ ছাদ অপসারণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বাড়ির মালিক শেখ ইব্রাহীম, রাজউকের নির্দেশ মানেননি। তিনি ভেঙে দেওয়া ছাদ জোড়াতালি দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ফের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বর্তমানে ৯ তলা ও ১০ তলার ইট গাঁথুনি শেষ করেছেন। প্রতিবেশীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রতিদিন ভোর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তড়িঘড়ি করে নির্মাণকাজ চালু রেখেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেখ ইব্রাহীমের এক প্রতিবেশী বলেন, বাড়িওয়ালা অর্থ আর রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। আমরা আইন মেনে বাড়ি নির্মাণের অনুরোধ করলেও তিনি তা রাখেননি।
রাজউককে ম্যানেজ করে বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেছেন বলে বাড়িওয়ালার দাবি।
বাড়ির মালিক শেখ ইব্রাহীম সুইজারল্যান্ডে থাকলেও বাড়িটি দেখাশোনা করছেন তার আত্মীয় মো. বাবুল।
নির্মাণাধীন ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বাবুলের কাছে বর্ধিত দুই ফ্লোরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। বাড়ির মালিক ইব্রাহীম সাহেব অফিসারদের সঙ্গে বিষয়টির সমাধান করেছেন। রাজউক থেকে আমরা গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছি।
কিন্তু কোন অফিসারদের সঙ্গে সমাধান করেছেন তা জানতে চাইলে তিনি ফোন কলের লাইন কেটে দেন।
রাজউক জোন-৫/১ এর  ইমারত পরিদর্শক আব্দুস সাত্তারের কাছে বিষয়টি জানতে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। এ ছাড়া অথরাইজড অফিসার আব্দুল্লাহ আল- মামুনকে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com