সাম্প্রতিক সময়ে খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফিট এর ডুমনীর মস্তুল বাজারে ফুটপাতে কাঁচামালের দোকান করে সংসার চালান একজন নিরীহ ব্যবসায়ী ।গত ৩ নভেম্বর রবিবার সকাল ৮ ঘটিকার সময় ডুমনী যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহবুল আলম স্বপন হেঁটে যাওয়ার সময় কাঁচামালের দোকানদার কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যা দেখে রীতিমত হতবাক হয়ে যান ডুমনি ৪৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ নয়ন ।
বিষয়টি নয়নের কাছে খারাপ লাগলে নয়ন মাহবুল আলম স্বপন’কে গালি না দেওয়ায় অনুরোধ করলে তাৎক্ষণিক নয়ন কিছু বুজে উঠার আগে মাহবুল আলম স্বপন নয়নের নাকে মুখে এলোপাথাড়ি কিল ও ঘুষি দিয়ে নাক পাটিয়ে দেয়,রক্তাক্ত অবস্থায় নয়ন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন নয়ন কে কুর্মিটোলা হসপিটালে নিয়ে ভর্তি করেন ।বর্তমানে নয়নের নাকের ভিতরের একটি হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন নয়ন।
স্থানীয় সূত্রে খোজ নিয়ে জানা যায়,ডুমনি মস্তুল বাজারে থাকা একটি কাঁচামালের দোকান বসানো’কে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ।একপর্যায়ে ডুমনি আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন তুলে দিতে চাইলে বাঁধা দেয় যুবদলের সাবেক নেতা মোঃ নয়ন।এসময় স্বপন ও বিল্লাল নয়নের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।যদি ও স্থানীয় রাজনৈতিক গ্রুপিং এর কারনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে নয়ন বলেন, একজন গরিব মানুষের কাঁচামালের দোকান সরিয়ে দিতে চাচ্ছিলো স্বপন। আমি বাঁধা দেওয়ায় আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমকে এলাকা ছাড়ারো হুমকি দেয় নয়ন।এবং আমার ভাই পিরোজের বাড়ি করার জমানো ৩ লক্ষ টাকা তার অফিস ভাংচুর করে টাকা গুলো লুট করে নিয়ে যায় স্বপন ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা ।
তিনি আরো বলেন, স্বপনসহ যারা আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আমি তাদের বিচার চাই।এই বিষয়ে নয়ন খিলক্ষেত থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন যুবদল ও বিএনপি নেতা বলেন,স্বপন স্বৈরাচারের দোষর ছিলেন, স্বপন যুবলীগের পোস্টদারী নেতা হয়ে ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেনের চত্রছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন,কয়েকদিন আগেও ডুমনী বাজারে আদিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে ঐ ঘটনায় ওহিদুল নামে একজনকে বাদী করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করানোর অভিযোগ উঠেছে আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে।খবর নিয়ে জানা যায় বিএনপির নেতা আক্তার হোসেন উক্ত এলাকায় একক রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করেন,গড়ে তুলেছেন নিজস্ব দিদার বাহিনী,দিদার বাহিনীর সাথে যুক্ত আছেন জাকির,ফয়সাল,যেখানে মারামারি দখলদারিত্ব সেখানে দিদার বাহিনীর লোকজন।
এই বিষয়ে বিএনপি নেতা আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি তবে স্বপন এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়,যদিও সিসি ক্যামরা বলছে ভিন্ন কথা।তারপর ও দুইজনকে বসিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিবেন বলে ও তিনি আশ্বাস দেন ।
অভিযোগ আছে মাস্তুল থেকে তলনা পযর্ন্ত মাটি বরাটের জন্য যমুনা ও স্বদেশ দুইটি কোম্পানীর ২০ টির ও বেশী ড্রেজার বসানো আছে সবগুলো ড্রেজার আক্তার একাই নিয়ন্ত্রণ করেন। সুধু তাই নয় বসুন্ধরা পুর্বাচলে এলাকায় ফাইলিং এর ব্যবসা,বালুর ব্যবসা,ড্রেজার ব্যবসা সব জায়গায় একক ভাবে নিয়ন্ত্রন করেন তিনি।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাংবাদিকদের বলেন ডুমনি তে মারামারির ঘটনায় একটা অভিযোগ হয়েছে আমরা ঘটনার সুস্থ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply