1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
‘যুদ্ধ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না': প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক আমার সময়

‘যুদ্ধ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না’: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
    প্রকাশিত : বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩

যুদ্ধ ও অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। বিশ্বনেতাদের বলবো, এই যুদ্ধ বন্ধ করুন।’

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদযাপন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নে ব্যয় হোক। আমরা যুদ্ধ চাই না, কারণ যুদ্ধ ধ্বংস করে। আমরা শান্তি চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বিশ্বে একের পর এক যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখন আবার ফিলিস্তিনের ওপর আক্রমণ করছে ইসরায়েল। দুপক্ষেরই শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল দেখলাম হাসপাতালে আক্রমণ হয়েছে। সেখানেও শিশু মারা গেছে। এই যুদ্ধের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। যুদ্ধের ফলে শিশু হারায় বাবা-মা, বাবা-মা হারায় সন্তানদের। ১৯৭১ ও ১৯৭৫-এ আমরা এই ভয়াবহতা দেখেছি। আজ আমাদের এখানে তাপস (মেয়র ফজলে নূর তাপস) আছে, সে শিশু বয়সেই বাবা-মাকে হারিয়েছে।’

স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আগামী দিনে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ করবো। আজকের শিশু-কিশোররাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ চালাবে। আমি সেভাবে তোমাদের গড়ে তুলতে চাই।’আমাদের শিশুরা আরও উন্নত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজ থেকে ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ কেমন ছিল? ’৯৬ সালে সরকারে এসে ডিজিটাল সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছি, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করেছি। ২০০৯-এর পর থেকে আজ পর্যন্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। আমরা শান্তি চাই, আমরা দেশের উন্নতি চাই।’

এ সময় শিশুদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের শিশুরা লেখাপড়া শিখবে। এখানে অনেক শিশুরা রয়েছে, তোমরা গুরুজনের কথা মেনে চলবে, মা-বাবার কথা মেনে চলবে। তোমরা লেখাপড়া শিখবে। একটা কথা মনে রাখবে, ধনসম্পদ কিছু থাকবে না, শুধু শিক্ষাটা থাকবে। শিক্ষাটাই মূল শক্তি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েদের ছোটবেলা থেকে একটা কথাই শিখিয়েছি, টাকাপয়সা ও সম্পদ আমরা কিছুই রেখে দিতে পারবো না, তোমাদের লেখাপড়া শিখতে হবে। তারা বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com