ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের পর কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, রাস্তাঘাট মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে। আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোখার তাণ্ডবের পর রবিবার (১৪ মে) রাতেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন দুর্গত মানুষ। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমাটিন দ্বীপ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব। বাড়িঘর মেরামতের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা তাদের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পও। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারিভাবে এখনও সহায়তা পাননি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, কক্সবাজার জেলায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার আংশিক ও ২ হাজার সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। শুধু সেন্টমার্টিনেই ১ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা। একইভাবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ঘর। তবে হতাহত হয়নি কেউ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের মহাবিপদ সংকেত কেটে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন দুর্গত এলাকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে যেসব বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।
কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ২৭৮টি শেল্টার, ৩২ টি লার্নিং সেন্টার, একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্ৰ, ২৯টি মসজিদ/মক্তব ও ১২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২ হাজার ৫৪৮টি শেন্টার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ হাজার ৬১১ জন রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন ৫ হাজার ৩৮৬ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
Leave a Reply