1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিচারকদের ভূমিকা চান আইনমন্ত্রী - দৈনিক আমার সময়

মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিচারকদের ভূমিকা চান আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
    প্রকাশিত : সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩

বিচার বিভাগের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষকে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার প্রদানের মাধ্যমে জাতিসংঘের এসডিজি ও সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখারও আহ্বান জানান। রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিচারকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধাপে ধাপে সফলতার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথম ধাপ রূপকল্পণ্ড২০২১ বাস্তবায়নের পথ ধরে এখন সরকার এসডিজি ও রূপকল্পণ্ড২০৪১ বাস্তবায়নের পথে দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুকন্যার দেখানো পথে ২০৪১ সালে আমরা অবশ্যই নতুন আরেক বাংলাদেশ দেখতে পাবো, যে বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশ; আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী স্মার্ট বাংলাদেশ। যেখানে গড়ে উঠবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ। একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গত প্রায় দেড় দশক ধরে জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানচর্চা, জ্ঞান সৃষ্টি ও জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু যুগান্তকারী ও অভূতপূর্ব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে বলে জানান আনিসুল হক। তিনি বলেন, নব্য বিশ্বায়নের এই যুগে শেখ হাসিনার সরকারই জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র বৃদ্ধির প্রধান মাধ্যম হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামক নতুন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে প্রবেশে কোন শ্রেণিভেদ নেই। নতুন এই বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের সমান প্রবেশাধিকার রয়েছে। স্মরণ রাখা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে জ্ঞানই হবে সবচেয়ে বড় শক্তি। যার জ্ঞান থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশে সেই সমাজের উঁচু স্তরে পৌঁছে যাবে, তার বংশপরিচয় যা-ই হোক না কেন। বিচারকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যত বেশি দক্ষ, যত দ্রুত মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারবে, দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের পথে তত বেশি এগিয়ে যাবে। সে কারণেই বিচারকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম উপায় হলো সুষম মানবসম্পদ উন্নয়ন। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো প্রশিক্ষণ। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও প্রশিক্ষণ দরকার। আইনমন্ত্রী বলেন, একটি উন্নত ও সুদক্ষ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পক্ষেই সুদক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব। ঠিক সে কারণেই আমরা বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। আমি দেখেছি, এখানে একসঙ্গে ৪০ জনের বেশি বিচারককে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেত না। ৪০ জনের একটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হলে অন্য বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেত না। আরও দেখেছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করতে না পারার কারণে অনেক সহকারী জজের চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি পেতে বিলম্ব হয়েছে। অনেক প্রয়োজনীতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য স্তরের বিচারকদের জন্য নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কোর্স যথাসময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে বিচারকদের মনে ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, যা নিয়ে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকেও রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের কল্যাণে এখন সেসব সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। আজ এখানে একসঙ্গে প্রায় ৮০ জন বিচারককে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স এবং যুগ্ম জেলা জজদের ওরিয়েন্টেশন কোর্স চালানো সম্ভব হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com