বসন্ত শেষে প্রকৃতিতে বইছে গ্রীষ্মের গরম হাওয়া। গ্রীষ্মের প্রকৃতিকে রাঙিয়েছে পলাশ, শিমুল সহ নানা রঙবেরঙের ফুল। মানিকগঞ্জের পথে প্রান্তরে ডানা মেলেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া।
প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই পথে প্রান্তরে এমন মুগ্ধতা ছড়ায় কৃষ্ণচূড়া ফুল। যেন সূর্যের সবটুকু আলো গ্রহণ করে সহমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে নিজেকে মেলে ধরে।
রৌদের উত্তাপে এখনও পুড়ছে প্রকৃতি। এই প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়ার রঙে আগুন জ্বলছে। মানিকগঞ্জের প্রত্যোকটি উপজেলার পথ প্রান্তরে আগুনঝরা কৃষ্ণচূড়ার সমাহার চোখে পড়ে।
দূর থেকে দেখলে মনে হয়, গ্রীষ্মের রৌদের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়ে ফুটেছে সবুজ চিরল পাতার মাঝে এই রক্তিম পুষ্পরাজি, যেন আগুন জ্বলছে। পথচারিরা মনভরে উপভোগ করেন কৃষ্ণচূড়ার এই অপরুপ সৌন্দর্য্য।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার পাশে, বাড়ির আঙিনায়, স্কুল কলেজের আঙিনায় কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে রাঙিয়েছি প্রকৃতি।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়। লাল, হলুদ ও সাদা। সবচেয়ে বেশি লাল রঙের কৃষ্ণচূড়া চোখে পড়ে। তবে সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে না বললেই চলে।
স্থানীয় হরিরামপুর উপজেলার দিয়াবাড়ি গ্রামের মো. রুবেল বলেন, আমরা কৃষি কাজ করি। কাজ করে মাঝে মাঝে এই কৃষ্ণ চুড়া গাছের নিচে বিশ্রামের জন্য বসি। এমন গাছের নিচে বসলে মনেও আনন্দ পায়।
প্রকৃতি প্রেমিক মো. মিলন মোল্লা বলেন, কৃষ্ণচুড়া ফুল প্রকৃতির সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে। পথে প্রান্তরে দাড়িয়ে থাকা এই গাছগুলো মানুষের মনকেও আলোকিত করে।
হরিরামপুরের আন্ধারমানিক গ্রামের সেলিনা আক্তার বলেন, মাথার উপর লাল ফুল পায়ের নীচে ঝরা ফুলের বিছানা দেখতে খুবই সুন্দর। সকালে এবং বিকেলে দেখলে এবং ছবি তুলতে বেশি ভালো লাগে। কৃষ্ণচূড়ার রুপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও চলার পথে ক্ষণিক থমকে তাকান।
Leave a Reply