শেরপুর নকলায় বর্গাচাষী আলী হোসেন(৪৮) কে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা মোঃ খোকন মিয়া(২৫) কে ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।
গ্রেফতারকৃত খোকন মিয়া শেরপুর জেলার নকলা থানার চরভাবনা এলাকার মোঃ ইদ্রিস আলীর ছেলে।
র্যাব-১৪ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জমির মালিক জনৈক মোঃ সেলিম মিয়া‘র ৫০ শতক জমি আসামী মোঃ ইদ্রিস আলী গং ওয়ারিশ মূলে দাবী করে আসছেন।
এই জমি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
চলতি বোরো মৌসুমে উক্ত জমি বর্গাচাষী নকলার চরবাসন্তী এলাকার মৃত নবাব আলীর পুত্র আলী হোসেন চাষাবাদ করে। ঘটনার দিন গত ৫ মে সকাল সোয়া ৬ টায় বর্গাচাষী আলী হোসেন এবং তার ছোট ভাই শুক্কুর আলী (৩২) ও ছেলে মোঃ রাব্বি (২০) সহ তার চাষাবাদকৃত জমিতে ধান কাটতে যায়।
এই সময়, আসামী পক্ষ ধান কাটতে বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে, আসামীগন তাদের হাতে থাকা ধারালো দা এবং শুল্কী দিয়ে আলী হোসেনের মাথায় এবং পেটে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এবং আলী হোসেন এর ভাই ও ছেলেকে গুরুতর জখম করে। পরে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে আলী হোসেন কে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে নিহতের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে খোকন মিয়া সহ ১৯ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামী খোকন মিয়া‘ সহ অন্যান্য আসামীগন পলাতক ছিল।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
মঙ্গলবার (২৪ মে) ভোর ৫ টায় ময়মনসিংহের ফুলপুর থানাধীন পয়ারী গ্রাম থেকে উক্ত মামলার অন্যতম আসামী মোঃ খোকন মিয়া কে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১৪ আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে শেরপুর জেলার নকলা থানায় হস্তান্তর করা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply