বিগত দেড় দশকে চেপে থাকা স্বৈরশাসন কালে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের মাতৃ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএমটিএ) মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের ব্যবস্থা না হওয়ায় বাস্তবে নেতৃত্বহীন ছিল। ছাত্র জনতার বহু ত্যাগের ফলে বৈষম্য বিরোধী রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনের অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় বিজয়ে সারা দেশের মতো মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ আশায় উদ্দীপ্ত হয়েছিল। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূরীকরনে মৌলিক দাবি সমূহ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর ১৭ দফা দাবি সরাসরি বৈঠকের মাধ্যমে উপস্থাপন করে। পরবর্তীতে দাবীসমূহ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠে।তাদের বৈষম্যের ফলে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ নিরসন করে দাবি আদায়ের আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসুচি ঘোষনা করে। ইতিমধ্যে সার্বজনীন বিএমটিএ গঠনের আলোচনা এগিয়ে যায়। এ লক্ষ্যে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম ও এম ট্যাব এর মধ্যে কয়েকদফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এম ট্যাবের একঘেয়েমির ফলে সার্বজনীন বিএমটিএ এর অন্তর্বর্তিকালীন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।ফলে এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ জাতীয় দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে অন্যান্য সংগঠনের সমন্বয়ে অদ্য ৩১/১০/২৪ ইং তারিখে সাধারণ সভার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজি পরিষদ নামে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে। সর্বজনিন নির্বাচিত কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত এই বৈষম্যবিরোধী কমিটি জাতীয় দাবী বাস্তবায়নে ও ছাত্র আন্দোলন সফল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থাকবে। উক্ত কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে জনাব আব্দুস সামাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব সোহেল রানা, জনাব হেদায়েত হোসেন, জনাব জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি জনাব শামসুজ্জামান, জনাব শরিফুল ইসলাম, জনাব শেখ জাহাঙ্গীর আলম, জনাব হাফিজুর রহমান, মহাসচিব জনাব রিপন শিকদার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জনাব সোহেল হাওলাদার, যুগ্ম মহাসচিব জনাব আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখদের সমন্বয়ে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply