র্যাব-৮ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার হত্যার চেষ্টা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ১৪ এপ্রিল দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর জাহাঙ্গীর আলম। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ জসিম হাওলাদার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর এলাকার মোজাফ্ফর হাওলাদারের ছেলে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, র্যাব-৮ সিপিএসসি এবং র্যাব-১০ সিপিসি-২, শ্রীনগর ক্যাম্পের একটি বিশেষ যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার রাতে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন বালাশুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ জসিম হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জসিম ২০১৬ সালের জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিবাদকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়ির মোঃ ছোবহান মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশে গুরুতর জখমসহ ধারালো অস্ত্রদ্বারা ডান পায়ে হাটুর উপর থেকে বিছিন্ন করে ফেলে। ঐ মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। এছাড়া চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ গ্রেপ্তার জসিম ও তার সন্ত্রাসী দল ধাররো অস্ত্র ও লোহার রড, লাঠি দিয়ে বাকেরগঞ্জ থানাধীন মোহাম্মদ ইব্রাহিম ওরফে ফালানকে হত্যার উদ্দেশে মারধর ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় ফালানের স্ত্রী বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া বাকেরগঞ্জ থানায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আরো বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। যাহা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। র্যাব-৮ এর সিপিএসসি কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জসিমের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে সে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। সেই প্রেক্ষিতে র্যাব-৮ বরিশাল সিপিএসসি কর্তৃক ছায়াতদন্ত করে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে র্যাব-১০ সিপিসি-২ এর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আসামীকে বাকেরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
Leave a Reply