বরিশাল জেলায় ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৩০ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আগামী ১৫ মার্চ। এ উপলক্ষে বুধবার বিকেলে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে নবাগত সিভিল সার্জন এস এম মঞ্জুর এ এলাহী জানান আগামী ১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ঐ দিন বরিশাল জেলার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৪ হাজার ৩৪১ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট (আইইউ) ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭৮৯ জন শিশুকে লাল রঙের ২ লক্ষ আইইউ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন ঐ দিন বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৭টি ইউনিয়নের ২৮৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৬৪টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র এবং প্রতি উপজেলায় ১টি করে অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রসহ সর্বমোট ২ হাজার ৭৩টি টিকা দান কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪ হাজার ১৪৬ জন স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা হবে। ঐ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। সিভিল সার্জন বলেন প্রতি কেন্দ্রে আগামী ১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ২ জন স্বেচ্ছাসেবক, প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে মাঠকর্মী এবং ১ জন প্রথম সারির সুপারভাইজার থাকবেন। জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন প্রচারের জন্য স্ব-স্ব এলাকায় নিয়মিত মাইকিংসহ মসজিদ থেকে মাইকিং করা হবে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনাদের লেখোনির মাধ্যমে শিশুদের অভিভাবকরা ভিটামিন এ ক্যাপসুলের উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং শিশুদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ হবেন। কোন গুজব বা অসত্য তথ্য পেয়ে জনগন যেন বিভ্রান্ত না হয, সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল জলিল, জেলা ইপিআই তত্ত্বাবধায়ক এনায়েত হোসেন।
Leave a Reply