বরিশালে অটোরিকশা চালক হিরণ হাওলাদার (৪০) এর ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান আসামী আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আল আমিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে হিরণকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ২০ অক্টোবর রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা। গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানাধীন সাপানিয়া এলাকার মানিক ফরাজির ছেলে। অপরদিকে হত্যার শিকার হিরণ হাওলাদার নগরীর কোতয়ালী মডেল থানাধীন খালেদা বাদ (রিফিউজি) কলোনির মৃত সেলিম হাওলাদারের ছেলে। র্যাব-৮ জানায় প্রতিদিনের ন্যায় গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে অটোরিকশা চালানোর জন্য ঘর থেকে বের হন হিরণ হাওলাদার। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে না এলে স্বজনরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। তবে সন্ধান না পেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এদিকে হিরণ নিখোঁজের ২৯ দিন পর ৭ অক্টোবর দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানাধীন চড়বাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া গ্রামের একটি নালার মধ্য থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যা পরবর্তীতে হিরণ হাওলাদারের মরদেহ হিসেবে শনাক্ত করে পরিবার। সেই সঙ্গে হিরণের স্ত্রী বাদী হয়ে ৮ অক্টোবর কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব জানায় এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র্যাব-৮ এর সদর কোম্পানি হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত বাড়ায়। এ মামলায় গ্রেপ্তার অন্য আসামীদের দেওয়া তথ্য এবং চৌকস অভিযানিক দলের তৎপরতায় প্রধান আসামীর অবস্থান শনাক্ত করে। শনিবার দিনগত রাত পৌনে ১০টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানাধীন লাহারহাট মল্লিকবাড়ি এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন র্যাব-৮ এর সদস্যরা। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে বিএমপি কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply