কিন্তু হাবিব তার পূর্বের কর্মস্থল জোন-৩ এ-ই বহালতবিয়তে থাকেন, কোনো এক ঐশ্বরিক শক্তির বলে।
বদলির আদেশানুসারে, এস্টেট ও ভূমি-৩ এবং পরবর্তীতে জোন-১ এ যোগদান করলেও পূর্বের কর্মস্থল জোন-৩-এ বেশীর ভাগ সময় অফিস করেন তিনি।
সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, বিগত দিনে আওয়ামীলীগের সাবেক এক প্রভাবশালী এমপির প্রভাব খাটিয়ে চলতেন এই নথি রক্ষক, কাউকে পরোয়া করতেন না।স্টোরে একটি নথি যাচাই করতে গেলে দিনের পর দিন হয়রানির স্বীকার হতে হত সবাইকে,যদিও বা তা পরবর্তীতে ৫-১০ হাজার টুপাইসের বিনিময়ে দেখানো হ’ত। দীর্ঘদিন ধরে হাবিব অজানা কারনে স্টোরে অনুপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে অথরাইজ অফিসারের কাছে অভিযোগ করলেও তিনি কোন সুরাহা করেননি বরং বিষয়টি পড়ে দেখবেন বলে যানায় । সূত্র আরো জানায় যে, হাবিব জোন-৩ এ পুনঃরায় ফিরে আসার জন্য দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন ইতিমধ্যে ।
স্টোরে নতুন লোক থাকলেও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না।দিনের পর দিন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন জনগণ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন হাবিব অপেক্ষায় আছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত রাজউকের চেয়ারম্যানের অবসরের আশায়, তিনি অবসরে গেলেই হাবিব আবার তদবীর করে জোন-৩/১ এ আসবেন। এজন্য মূলত তিনি দায়িত্ব কাউকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।এখানে প্ল্যান পাশের জন্য প্রত্যেক মিটিংয়ে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্য হয়, যার সব টাকাটা কলেকশন হয় হাবিবের মাধ্যমে। হাবিব জোন -৩/১ এর কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন হওয়ায় কোনোমতেই তাকে ছাড়তে নারাজ ওই কর্মকর্তারা।
হাবিব সিন্ডিকেটের নকশা অনুমোদনের ঘুষের তালিকা নিম্নরুপ-
(১) ৪-৭ তলা পর্যন্ত মিটিং এর জন্য সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা,নকশার ভুল ভ্রান্তি ধরে এর পরিমাণ বেড়ে দাড়ায় লক্ষ লক্ষ টাকায়।
না দিলে নকশার অনুমোদন মিলে না।
(২) ৮-১০ তলা পর্যন্ত মিটিং এর জন্য- সর্বনিম্ন ২ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয় । নাম প্রকাশ না করা শর্তে অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, হাবিব গত পাঁচ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন , তার স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনের নামে কিনেছেন জায়গা জমি এবং ফ্লাট। তার আত্মীয়র নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে একটি প্রাইভেট কার, যার নম্বর-ঢাকা মেট্রো- গ- ১৬-৮৭৫০। যা একটি কোম্পানিতে ভাড়ায় চলে। আর এসব অন্যায়ের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা হলেন জোন-৩/১ এর কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও হয় তা আবার অজানা কারনে থেমেও যায়। হাবিব ১০ বছর পর্যন্ত এই একই জোনে কর্মরত আছেন । এসব অবৈধ উপায়ে আয়ের টাকা আবার একই ভাবে বিদেশেও পাচার হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
(চলবে)
Leave a Reply